ফের মাওবাদী আতঙ্ক, পড়ল পোস্টার, জোর চাঞ্চল্য! কলকাতা রাজ্য January 3, 2020 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পরেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী উপদ্রব কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার। এককালীন যে জঙ্গলমহল এলাকাগুলোতে মানুষের ঘুম ভাঙত লাল রক্ত দেখে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর সেই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে জঙ্গলমহল মাওবাদী উপদ্রব থেকে অনেকটাই শান্ত। কিন্তু শেষ হয়েও হইল না শেষ। মাওবাদীদের উপদ্রব থেকে জঙ্গলমহল শান্ত হয়েছে বলে মনে করা হলেও, এবার নতুন বছর পড়ার সময় সেই এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। জানা যায়, বুধবার বর্ষবরণ রাতে যখন গোটা এলাকা উৎসবে সেজে উঠেছে, ঠিক সেই সময়েই মহিষাদলের জগতপুর গ্রামে মাওবাদী পোস্টার ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যে পোস্টারে তিন তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। যে তৃনমূল নেতাদের মধ্যে রয়েছেন রাম মাঝি, গোকুল সাঁতরা এবং ছবিলাল দাস। কিন্তু কি লেখা রয়েছে সেই পোস্টারে! সেই পোস্টারে তৃণমূল নেতাদের নাম দিয়ে লেখা রয়েছে, “তুই খুব বার বেড়েছিস! শেষবারের মতো তোকে সাবধান করে দিচ্ছি। বউকে যদি বিধবা করতে না চাও এবং নিজের মাথা থেকে শরীর যদি আলাদা করতে না চাও, তাহলে সাবধান হয়ে যাও।”আর এই পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের মতে, বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের নাম নিয়েই তাদের উদ্দেশ্য করে এই ধরনের হুমকি পোষ্টার নিঃসন্দেহে আতঙ্কের কারণ। কেননা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকা মাওবাদী উপদ্রব থেকে দূরে ছিল। ফলে এই পোস্টার পড়ায় এখন এই এলাকায় আবার মাওবাদী উপদ্রব শুরু হচ্ছে বলে মনে করছে একাংশ। কিন্তু এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি! এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ মিশ্র বলেন, “আমাদের এই গ্রাম শান্তিপ্রিয় গ্রাম। তেমন রাজনৈতিক কোনো হিংসা নেই। তাই এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় কোনো প্রতিবেশীদের দ্বারা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।” এদিকে এই ব্যাপারে ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিলক কুমার চক্রবর্তী বলেন, “আমার কাছে এই ধরনের কোনো খবর এখনও পর্যন্ত নেই। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টা দেখছি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, উৎসবের মরসুমের সময় এইভাবে হুমকি পোষ্টার পড়ায় রীতিমতো মাওবাদী উপদ্রবেরই আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। আপনার মতামত জানান -