এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে ঘুম উড়েছে নেত্রীর? বিদ্রোহীদের বাগ মানাতে তিন নয়া সমাধান সূত্র?

দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে ঘুম উড়েছে নেত্রীর? বিদ্রোহীদের বাগ মানাতে তিন নয়া সমাধান সূত্র?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনের শেষে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে একাধিক নেতা নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি দিয়ে। এছাড়াও প্রকাশ্যে আসছে শতাব্দীপ্রাচীন দলের ব্যাপক অন্তর্কলহের খবর। আর এই নিয়েই এবার চিন্তায় পড়েছেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিল মহাজোটে। কিন্তু মহাজোটের জেতার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত এনডিএ শিবির জয়লাভ করে। অন্যদিকে হেরে গেলেও মহাজোটের মধ্যে থেকে বিহারে আরজেডি শিবির ব্যাপক ভোট পায়। সবথেকে পিছিয়ে পড়া দল হিসেবে কংগ্রেসের নাম আসে।

আর তা থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল স্তরে কংগ্রেসের সংগঠন যে কতটা আলগা তা নিয়ে একের পর এক মন্তব্য শুরু করেন দলের প্রবীণ নেতারা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সংবাদ মাধ্যমে। পাশাপাশি বিরোধীরা কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগকে কাজে লাগাতে যথারীতি তৎপর হয়েছে। আর এবার সোনিয়া গান্ধী পরিস্থিতি সামলাতে তিনটি নয়া কমিটি তৈরি করলেন। প্রসঙ্গত এই কমিটিতে কপিল সিব্বল কিন্তু জায়গা পাননি। এই কপিল সিব্বলই সোনিয়া গান্ধীকে দলের ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তিনটি কমিটি মিলে জায়গা হয়েছে শশী থারুর, গোলাম নবী আজাদ, বীরাপ্পা মইলি এবং আনন্দ শর্মার মতন বেশকিছু বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতার।

এছাড়াও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ চিদাম্বরমকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। তবে তিনটি কমিটিতেই সমান ভাবে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী যে তিনটি কমিটি তৈরি করেছেন, তা মূলত জাতীয় নিরাপত্তা, বিদেশনীতি এবং অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সোনিয়াকে অবগত করবেন এবং দলের অবস্থান সেই পরিপ্রেক্ষিতে কি হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থনীতি সংক্রান্ত কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন সাংসদ পি চিদাম্বরম। বিদেশনীতি বিষয়ক কমিটিতে রয়েছেন আনন্দ শর্মা এবং শশী থারুর। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ এবং বীরাপ্পা মইলি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কপিল সিব্বলের পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীকে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছিলেন শশী থারুর, গুলাম নবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি এবং আনন্দ শর্মা। অন্যদিকে করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি দিল্লিতে প্রবলভাবে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণ। যার ফলস্বরূপ শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এবার দিল্লি ছাড়লেন সোনিয়া গান্ধী। প্রসঙ্গত তিনি শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন। ইতিমধ্যে তিনি হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। আর এবার চিকিৎসকদের পরামর্শে দিল্লি ছেড়ে তিনি গোয়া চলে গেলেন তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীর সঙ্গে।

আপাতত গোয়া থেকেই তিনি দলের সমস্ত কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহার নির্বাচনের ধাক্কা যেন আরো বেশি করে কংগ্রেসের বর্তমান অন্তর্কলহকে সামনে এনে দিয়েছে। দেশের একদা দাপুটে রাজনৈতিক দলের অন্দরেই এখন শুধুই দ্বন্দ্ব আর কলহ। রোজই কোনো না কোনো নেতা সংবাদমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এই পরিস্থিতিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছেন সোনিয়া গান্ধী বলে মনে করা হচ্ছে। চাপের মুখে পরেই তিনি বিক্ষুব্ধ নেতাদের সক্রিয় করতে এবার তিনটি কমিটি তৈরি করলেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে লাখ টাকার প্রশ্ন হলো, এত কিছু পদক্ষেপ নিয়েও কি কংগ্রেস পূর্বের জনপ্রিয়তা আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে? যার উত্তর দেবে সময়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!