হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের গড়ে দাঁড়িয়েই নাম না করে কার্যত তাঁকে ‘ধুয়ে দিলেন’ শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 21, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে। দলে থেকেও একের পর এক দলহীন জনসংযোগ করে চলেছেন তিনি। গত ১০ ই নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি দলের নাম না নিয়েও একাধিক ক্ষুরধার বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্য রাখার তিনদিনের মধ্যেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে, তাঁর পরিবারকে নিয়ে, তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেছিলেন। এরপর আজ শুক্রবার মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে বলাগড়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই সভা থেকে সরাসরি সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেও তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে তুলোধোনা করলেন তিনি। নন্দীগ্রামের তেখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষুরধার বক্তব্য রাখার পর শ্রীরামপুরের টাউন হলের বক্তৃতায় তাঁকে একেবারে তুইতোকারি ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি, তাঁর পরিবার ও তাঁর অনুগামী কাউকেই তিনি ছাড়েননি। সরাসরি তাঁর নাম না নিয়েও, তাঁর বিরুদ্ধে কটূবাক্য প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নামের গাছের তলায় বড় হয়েছেন তিনি। চারটে মন্ত্রিত্ব তিনি পেয়েছেন, চারখানা চেয়ারে তিনি আছেন, অনেক পেট্রল পাম্প তিনি করেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে পৌরসভায় আলু বিক্রি করতে হতো তাঁকে। সরাসরি নাম না নিলেও, শুভেন্দু অধিকারীই যে তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য, এ কথা বুঝতে কারোর বাকি ছিল না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আজ শুক্রবার বলাগড়ের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পর শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, “আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি। প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত অনিল বসু যখন কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অশালীন আক্রমণ করতেন তখন হুগলি জেলার মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, আপনারা কি মেনে নেবেন?” তাঁর বক্তব্য শুনে জনতা চিৎকার করে নেতিবাচক উত্তর জানায়। এরপর শুভেন্দু অধিকারী জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন করেন যে, তাঁরা কি এধরনের কালচারকে সমর্থন জানান? জনতার পক্ষ থেকে আবারও উত্তর আসে ‘না’। এরপর শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভা উপলক্ষে বলাগড়ের চারদিক শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছিল। তবে তার মধ্যে একটা, আধটা তৃণমূলের পতাকাও পাওয়া গিয়েছিল। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে আজ মঞ্চে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান। এদিকে গতকালের এক সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী যখন বলেছিলেন যে, এখনো তিনি একটা প্রাথমিক দলের সদস্য। এখনো তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দল থেকে তাড়ান নি, তিনিও দল ছেড়ে যাননি। এরপর তাঁর প্রতি সুর নরম করে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা গেছিল, ” আমি খুব খুশি। ওঁর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি। শিশির অধিকারী পিতৃস্থানীয়। শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি ভালবাসা আছে। শুভেন্দুর প্রতিও আমার কেন সবার ভালোবাসা রয়েছে।” প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি বিরূপ মন্তব্য করে দলের প্রতি তাঁর অসন্তোষকে আরও তীব্র করে দিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -