প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিরোধী নেত্রী থাকার সময় যেভাবে মানুষের পাশে ছুটে যেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন আর সেরকমটা দেখা যায় না। শুধুমাত্র যখন ভোট আসে, তখন তিনি মানুষের সঙ্গে বেশি করে মিশতে শুরু করেন। তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন যে, উত্তরবঙ্গ তো বটেই, গোটা বাংলাতেই তার দলের ফলাফল এবার খুব শোচনীয় হবে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছুদিন আগেই যখন উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ঝড় হয়েছিল, তখন সেই রাতেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ কোচবিহারে সভা থেকে সেই কথা তুলে ধরেই তিনি যে মানুষের পাশে সব সময় রয়েছেন, সেই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী।

প্রসঙ্গত, আজ কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জলপাইগুড়িতে যেদিন ঝড় হয়েছিল, সেই রাতেই আমি ছুটে গিয়েছিলাম। যথাসাধ্য মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।” আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তিনি তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের বিপদের দিনে তিনি পাশে থাকবেন, সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। এটার জন্য এত জাহির করার কি আছে? আসলে ভোটে সমর্থন পাবেন না। এবার ধুয়ে মুছে উত্তরবঙ্গের সাফ হয়ে যাবে তার দল। সেই কারণেই জনতার নেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জন্য দুর্যোগের বিষয়টি নিয়েও ভোটের রাজনীতি করতে দেখা গেল তাকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।