শুভেন্দু-গড়ে আবার তৃণমূলকে পেটালো বিজেপি, পুলিশের জালে ৪ মেদিনীপুর রাজ্য August 27, 2018 রাজ্যে বিরোধীদলের কর্মীদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চলায় যখন শাসকের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি ঠিক তখনই রাজ্যেরই কিছু জায়গায় সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই শাসকদলের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার খোদ রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর গড় মেদিনীপুরের কাঁথি-১ ব্লকের মহিষাগোট এলাকায় পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত তৃণমূল সদস্যকে মারধর ও খুনের চেষ্টায় এবার তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল কাঁথি থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই সেই আক্রান্ত তৃণমূল নেতা নন্দলাল মিশ্রকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে।এদিকে শনিবার ধৃতদের সকলকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেকেরই একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিন্তু কেন শাসক তৃনমূলের সদস্যকে মারল বিরোধী বিজেপি? জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় কালতলিয়া এলাকায় দলীয় বৈঠক সেরে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন হাতিবেড়িয়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য নন্দলাল মিশ্র। অভিযোগ, সেই সময় এলাকায় বিজেপির কর্মীসমর্থকরা সেই নন্দলাল মিশ্রকে দেখেই দেখেই অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আর তারপরেই নন্দলালবাবু প্রতিবাদ জানাতে গেলেই সেই বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে বচসা এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে তৃনমূলের এই নন্দলাল মিশ্র বলেন, “বিজেপির কর্মীরা আমাকে বাঁশ দিয়ে পেটায় এবং গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে এমনকী গলার সোনার হারও ছিনতাই করা হয়। ঘটনায় চিৎকার শুরু করতেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।” এদিকে নন্দলাল মিশ্রের করা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত প্রধান বলেন, “যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা কোনওমতেই এই ঘটনায় যুক্ত নয়। তাঁদের পুরোপুরি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এসব ওই তৃণমূল নেতারই কারসাজি।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রব্লেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাকে মারধর, খুনের চেষ্টা ও টাকাপয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পটাশপুরে টোকন গুচ্ছাইত নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, শনিবার ধৃতকে মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সব মিলিয়ে শাসকের গড়েই শাসকদলের কর্মীকে হামলায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -