এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার বেআইনি অনুপ্রবেশ কারীদের রাখার জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরির মুখে কর্ণাটক

এবার বেআইনি অনুপ্রবেশ কারীদের রাখার জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরির মুখে কর্ণাটক


গোটা দেশে নরেন্দ্র মোদি সরকার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে এনআরসি হবেই। সেই অনুযায়ী অমিত শাহ রাজ্যসভায় সে কথা ঘোষণাও করেছেন। সিএবি পাশ হয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে সিএএ। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকসহ দেশের একাধিক জায়গায় বেআইনি শরণার্থীদের থাকার জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, প্রথম ডিটেনশন সেন্টার খুলতে চলেছে কর্নাটকে। সেখানেই শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ চলছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তথা এনআরসি হচ্ছে না – রবিবার এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শোনা যাচ্ছে, কর্নাটকে প্রথম ডিটেনশন সেন্টারটি খুলতে চলেছে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য। রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তর এর কমিশনার আরএস পেড্ডাপিয়া জানিয়েছেন, কর্নাটকে ইতিমধ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টারটি প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। খবর পাওয়া গেছে এই জানুয়ারিতেই এই ডিটেনশন সেন্টারটির উদ্বোধন হবে। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে, রবিবার রামলীলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের কোন জায়গায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে না বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে। কিন্তু তারপরেও কর্নাটকে এই ডিটেনশন সেন্টারটি খোলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে অসম এবং মহারাষ্ট্রেও বিশাল দুটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হতে চলেছে। যদিও এই খবরটির সত্যতা এখনো প্রকাশ পায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানুয়ারিতে কর্নাটকের যে ডিটেনশন সেন্টারটি খোলা হবে বলে জানা গেছে, সেখানে শেষ মুহূর্তের কাজ জোরকদমে চলছে বলে জানা গেছে। এই ডিটেনশন সেন্টারে থাকবে ৬ টি ঘর, দুটি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, এবং একটি রান্নাঘর থাকবে। শুধু তাই নয়, যাতে 24 জন একসাথে থাকতে পারে সেরকম ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। কয়েকদিন আগেই কর্নাটকে ধরা পড়েছে 14 জন বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী। তা নিয়ে নানান আলাপ আলোচনা চললেও অবশ্য এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি নতুন তৈরি হওয়া ডিটেনশন সেন্টারে তারা থাকতে পারবে কিনা।

অন্যদিকে, দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর এনআরসির বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অসমে এনআরসি প্রয়োগ করা হয়েছে। অন্য কোন জায়গাতে এনআরসি নিয়ে কোন বক্তব্য রাখা হয়নি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিপরীত মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে শোনা যাচ্ছে, ডিটেনশন সেন্টারে পুলিশি নিরাপত্তায় অনুপ্রবেশকারীদের রাখা হবে। পুরো সেন্টারটি পরিচালনা করবেন হোস্টেল ওয়ার্ডেন, ক্লার্ক, রাঁধুনি এবং অন্যান্য কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!