পাহাড়ে গুরুং দিতে চলেছেন মাস্টারস্ট্রোক? উড়তে চলেছে বিজেপির ঘুম? হাসি চওড়া মমতার মুখে? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করে দিতেই বিমলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফিরে আসার ঘোষণার পর থেকেই বিনয় তামাং, অনীত থাপারা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলো বিনয় তামাং ও অনীত থাপার। বৈঠক শেষে গতকাল শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাড়িয়ে বিনয় তামাং জানালেন যে, যে উদ্দেশ্যে তিনি কলকাতা গিয়েছিলেন সে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে সফল হয়েছে। আবার গতকাল দার্জিলিং প্রেস গিল্ডে এক বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন গুরুংপন্থী মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা তিলক চান্দ রোকা ও সহ সভাপতি আর পি ওয়াই প্রমুখরা। তাঁরা জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ের তিনটি কেন্দ্রেই তাঁরা প্রার্থী দেবেন। এই নির্বাচনে তাঁরা সমর্থন করবেন তৃণমূলকে। তাঁরা আরও জানালেন যে, ১৫ দিন পর বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরতে চলছেন। তাঁকে স্বাগত জানাবার প্রস্তুতি নিচ্চেন তাঁরা। প্রসঙ্গত বিমল গুরুংকে পাহাড়ে ফিরিয়ে এনে বিমল গুরুং শিবির ও বিনয় তামাং শিবিরের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন করে দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সে বিষয়ে আপত্তি ছিল বিনয় তামাং শিবিরের। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক বিরূপ মন্তব্য ও মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল তখন বিনয় শিবিরকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সে বিষয়ে, কিছুটা বরফ গলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে আগামী ১৫ দিন পর পাহাড়ে আসতে চলেছেন বিমল গুরুং। তবে, আগামীকাল ৮ ই নভেম্বর দার্জিলিংয়ের চকবাজারে বিমল গুরুংয়ের একটি সমাবেশের কথা ছিল। যেখানে তাঁর ভাষণ দেওয়ারও কথা ছিল। এই জনসভা এখনকার মতো রাখা হয়েছে জানানো হলো তাঁর শিবিরের পক্ষ থেকে। গুরুং পাহাড়ে ফিরে আসার পর এই জনসভা করা হবে জানানো হলো। আবার, দুই বিবাদদমান শিবিরে স্পষ্ট মেলবন্ধন ঘটাতে না পারলেও, দুই শিবির রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। দুটি শিবিরই পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের কাজ করতে ইচ্ছুক। গতকাল বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন যে, তাঁরা পাহাড়ে শান্তি, উন্নয়ন, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পক্ষপাতি। আবার পাহাড়ে শান্তি, উন্নয়ন এর পক্ষপাতী বিনয় তামাং শিবিরও। দুই শিবিরই গতকাল নিজেদেরকে পাহাড়ের উন্নয়নের সহায়ক বলে ঘোষণা করলেন। দুই শিবিরই নিজেদেরকে প্রাসঙ্গিক ও গ্রহণযোগ্য বলে দাবি করেছে কাল। আবার, গতকাল গোর্খা নেতা বিনয় তামাং, অনীত থাপা বাগডোগরাতে ফিরে আসতেই তাদেরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের সামনে বহু মানুষ গিয়েছিলেন।গতকাল, পাহাড়ের সিপিআরএম দলের সভাপতি আর বি রাই বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফিরে আসাকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করলেন। তাঁর উপরে থাকা সমস্ত মামলাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। এভাবে দুই বিবাদমান শিবিরকে এক করে দিয়ে পাহাড়ে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দেয়ার পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর। আপনার মতামত জানান -