এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বঙ্গ বিজেপির একাধিক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের?

বঙ্গ বিজেপির একাধিক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য ও দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমনের ফলে সামাজিক দূরত্ববিধি কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যে কোনরকম সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভাবে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি লংঘন করে জনসমাগম ঘটানোর অভিযোগ উঠে এল বীরভূম জেলার একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। জেলার এই বিজেপি নেতাদের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে দেখা গেল রামপুরহাট থানার পুলিশকে। এই মামলার অভিযুক্তদের তালিকায় বীরভূম জেলার একাধিক বিজেপি নেতার নাম উঠে এসেছে। খুব শীঘ্রই এই বিজেপি নেতাদের আইনি নোটিশ পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে বিজেপি ‘গণতন্ত্র বাঁচাও বাংলা বাঁচাও’ কর্মসূচি আয়োজিত করেছিল। এই কর্মসূচিতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক স্থানে অবস্থান বিক্ষোভ ও বিষেদাগার করে রাজ্য বিজেপি। গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর রামপুরহাট এসডিও অফিসের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল নলহাটি থানার ওসি দেবব্রত সিনহাকে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের এই হুমকি দেবার ২ দিন পর তার প্রতিবাদ জানিয়ে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন রামপুরহাটের কুসুম্বা অঞ্চলের জনৈক তৃণমূল নেতা তোতা শেখ। তৃণমূল নেতার এই অভিযোগ দায়েরের পরই বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মন্ডলকে নোটিশ পাঠিয়ে থানায় হাজির হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশের নির্দেশমতো গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল রামপুরহাট থানায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সে সময়ে ৩০ টিরও বেশি গাড়ি ও ১০০ টিরও বাইক নিয়ে রীতিমতো ৱ্যালি করে বিজেপির নেতা-কর্মী তথা সদস্যরা তাঁকে রামপুরহাট থানা পর্যন্ত নিয়ে যান।

এরপর রামপুরহাট থানায় সেদিন দীর্ঘ সময় ধরে জেরা চলছিল বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের। পুলিশের অভিযোগ এই দীর্ঘ সময়ে থানার বাইরে বিশাল ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মী তথা সদস্যরা। বিজেপির নেতা-কর্মীরা এ সময়ে সামাজিক দূরত্ববিধি হেলায় ভঙ্গ করেছেন। তাই এই ঘটনা থেকে ব্যাপক আকারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছে পুলিশ। এ কারণে পুলিশ এই ঘটনায় ৯ জন বিজেপি নেতা সহ আরও ১৫০ জন বিজেপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।

বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় সহ বেশকিছু প্রভাবশালী বিজেপি নেতার নামে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। এ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, এই জেলায় প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার তৃনমূল সদস্য জমায়েত করছেন, চলছে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। কিন্তু তারা কতটা সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করছেন সেদিকে বিন্দুমাত্র নজর পুলিশের নেই। পুলিশ শুধুমাত্র বিজেপি কোন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করছে কিনা, সে বিষয়েই সদা ভাবিত। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যাতে কোনও ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে এজন্যই এই প্রচেষ্টা পুলিশের। পুলিশ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার কার্য পরিচালনা করুক, এটাই তাঁর দাবি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!