প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পদ্ম ফুল ফোটাতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে বিজেপি। এ কারণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার আসছেন রাজ্যে। তবে রাজ্য বিজেপির একটি বড় সমস্যা হলো, এখনো পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত বুথে তেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। রাজ্যে এমনও কিছু বুথ আছে, যেখানে এখনও কর্মী বা সমর্থক দিতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলকে পরাস্ত করতে গেলে দলের শক্তিশালী বুথ সংগঠন থাকা দরকার। এবারে বুথস্তরে দলকে শক্তিশালী করে তৃণমূল বধের পরিকল্পনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে দলের বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারলে, শাসকদল তৃণমূলের মোকাবিলা করা যে খুব একটা সহজ হবে না, বিজেপির নেতাদের অনেকেই বিষয়টি জানেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছেও বিষয়টি অজানা নয়। প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে গুছিয়ে সেখানে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি শক্তিশালী হওয়ায়, লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই একই ধরনের রণনীতি নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গতকাল সন্ধ্যায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। যে বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, বুথস্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা মেলাবেন বিজেপি কর্মীরা। আর এর সঙ্গেই তারা শুরু করবেন দেয়াল লিখন। আগামী ১৫ ই জানুয়ারির মধ্যেই একাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল বিজেপি নেতা মুকুল রায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৫ ই জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বুথে পাঁচটি করে দেয়াল লিখন করতে হবে। আবার সমস্ত বুথে সমস্ত বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা মেলাতে হবে।

প্রসঙ্গত আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে বিজেপি। এ কারণেই বারবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রতি মাসে রাজ্য সফর করতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকালের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী মাসে তিন দিনের জন্য রাজ্য সফরে আসতে পারেন ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাও আলাদাভাবে সফরে আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিলেন।

প্রসঙ্গত রাজ্যকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে দিয়ে প্রত্যেকটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। যাঁরা বুথ স্তরে কাজ করছেন। এদিকে গত মাসের বঙ্গ সফরে এসে বিজেপি নেতাদের ২০০ টি বিধানসভা আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগদান করায় যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বিজেপি শিবির।