এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার তৃণমূলের পাশে দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত, কতটা সুবিধা পাবে তাতে ঘাসফুল শিবির?

এবার তৃণমূলের পাশে দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত, কতটা সুবিধা পাবে তাতে ঘাসফুল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকাল থেকে তৃণমূল নজর দিয়েছে পাশের রাজ্য ত্রিপুরায়। তাঁদের লক্ষ্য সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা। শুধু ত্রিপুরা নয়, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সম্প্রতি ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক এবং সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় পুরভোটে তৃণমূল এবার প্রথম অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু ত্রিপুরাতে তৃণমূল বারবার সেখানকার শাসক দল বিজেপির বাধার মুখে পড়েছে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার অধিকাংশ তৃণমূল নেতা যারা বাংলা থেকে গেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধেও একই ইস্যুতে আরও চারটি মামলা করা হয় আবার গতকাল। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিল তাতে কিন্তু তৃণমূলের অনেকটাই সুবিধা হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তার ফলে আর কোন বাধা আসবে না প্রচারে। তাই আজ থেকে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা। ত্রিপুরা পুরভোটে কুণাল ঘোষ এদিন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ত্রিপুরার সন্ত্রাসের বিষয়টিকেই আসলে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কার্যত ত্রিপুরা পুলিশকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ত্রিপুরায় ভোটের প্রচারে ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি বিশেষ দল তৈরী করা হয়েছে, যার মধ্যে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ ও শান্তনু সেনরা রয়েছেন। এছাড়াও যুব তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরা যাচ্ছেন। পাশাপাশি এ রাজ্যের একাধিক বিধায়ক ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন সামাল দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন। যেমন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এর বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ত্রিপুরার সিপাইজলা জেলার সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সাহায্য করবেন কোচবিহারের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। এছাড়াও বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার পুরভোটের।

তাঁর সহযোগী হিসেবে পাঠানো হচ্ছে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। এছাড়াও ত্রিপুরা যাচ্ছেন চাঁপদানী পুরসভার পুর প্রশাশক অরিন্দম গুঁই। তাঁর সাহায্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি এবং রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। অর্থাৎ আটঘাট বেঁধেই ত্রিপুরা পুরভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে কিন্তু বাংলার শাসক দল। তবে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি যে সেখানে এত সহজে জায়গা ছেড়ে দেবেনা, তা বলাইবাহুল্য। তাই লড়াই যে টানটান হতে চলেছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত রাজনৈতিক মহলের নজর এখন ত্রিপুরার দিকে। আগামী 25 শে নভেম্বর সেখানে নির্বাচন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!