এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার কি করোনা নিয়ে অসাধু চক্র মাথা তুলছে বাংলায়? চিকিৎসকের কান্ড ধরা পড়তেই চোখ কপালে রাজ্যের

এবার কি করোনা নিয়ে অসাধু চক্র মাথা তুলছে বাংলায়? চিকিৎসকের কান্ড ধরা পড়তেই চোখ কপালে রাজ্যের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সকলের মধ্যে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি কিভাবে আয়ত্তে আনা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। কিন্তু এবার সেই করোনা ভাইরাস নিয়েও কি অসাধু চক্র মাথাচাড়া দিচ্ছে বাংলায়? জানা গেছে, হাওড়া হাসপাতালের কোনো করোনা রোগী ভর্তি না হওয়া সত্ত্বেও চেম্বারে বসে জেলা হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট লেখে দিলেন এক চিকিৎসক। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় এখন তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, আলিপুরের বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা বিষয়ে প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 10 জুলাই জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়েছিলেন এই যুবক। তার পরেই তাকে বেশ কয়েকটি দামি ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর ওই চিকিৎসকের চেম্বারে ঔষধ কিনতে বাধ্য হন সেই যুবক। আর এর কিছুদিন পর সেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার পর চিকিৎসক অমিত বিক্রম তাকে করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। যার পরবর্তীতে নিজেই তার নমুনা সংগ্রহ করে 3100 টাকা নেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এর কিছুদিন পর চিকিৎসকের তরফে কোনও খবর না দেওয়ায় সেই যুবকের পরিবারের তরফে সেই চিকিৎসককে ফোন করা হয়। তখন সেই চিকিৎসক বলেন, এই যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এদিকে যুবকের করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে বলে সেই চিকিৎসক জানানোর সাথে সাথেই সেই যুবকের পরিবারের তরফে রিপোর্টে দাবি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন, এই রিপোর্ট মৌখিকভাবে জানানো হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই চিকিৎসক রোগীর পরিবারকে তার চেম্বারে যেতে বলেন। আর তারপরেই সেই যুবককে জানানো হয়, আগের রিপোর্ট ভুল ছিল। তিনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ। করোনা আক্রান্ত নন।

কিন্তু চিকিৎসকের তরফে সেই যুবক করোনা আক্রান্ত নন বলে জানানোর পরেও কেন ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লেখা হল যে, সেই যুবক 19শে থেকে 22 শে জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? কেন এভাবে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট লেখা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অমিত বিক্রম বলেন, “আমি হাওড়া হাসপাতালের পিজিটি। রোগীর ভালোর জন্যই আমি একাজ করেছিলাম।” কিন্তু এতে করে রোগীর কি ভালো হবে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে যে বড়সড় প্রতারণা চক্র রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!