এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ঋণের ধাক্কা সামলাতে এবার ট্যারিফ বাড়ানোর পথে মোবাইল কোম্পানিগুলো! বড়সড় ধাক্কা গ্রাহকদের জন্য

ঋণের ধাক্কা সামলাতে এবার ট্যারিফ বাড়ানোর পথে মোবাইল কোম্পানিগুলো! বড়সড় ধাক্কা গ্রাহকদের জন্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘ সময় পর আপাতত দেশের মোবাইল টেলিকম সংস্থাগুলি এই মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তি পেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। পুরনো বছরের শেষ লগ্নে মাথায় হাত পড়ে ছিল দেশের তাবড় টেলিকম সংস্থাগুলির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি বাবদ যা বকেয়া রয়েছে, তা যত শীঘ্র সম্ভব মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশ টেলিকম সংস্থাগুলি মানেনি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অধিকাংশ টেলিকম সংস্থা আদালত অবমাননায় সামিল হয়। কিন্তু তারপরে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করায় টেলিকম সংস্থাগুলি তৎপরতা দেখিয়েছে বলে জানা যায়।

এর মধ্যেই দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ে। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালত এ দিন দেশের টেলিকম সংস্থাগুলিকে স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি মেটানোর জন্য আরও 10 বছর অতিরিক্ত সময় দিল। যদিও সাময়িক স্বস্তি মিললেও মোবাইল ব্যবহারের খরচ এবার যে বাড়তে চলেছে তা নিশ্চিত রূপে জানিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, 2031 সালের 31 শে মার্চের মধ্যে স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স ফি মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও বকেয়ার 10% 2021 এর 31 শে মার্চের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। সেক্ষেত্রে মোবাইল টেলিকম সংস্থাগুলির হাতে রয়েছে আর মাত্র সাত মাস।

তাই ঋণ চোকানোর জন্য দেশের প্রায় প্রতিটি মোবাইল সংস্থা তাঁদের কলচার্জ যেমন বৃদ্ধি করবে, ঠিক সেভাবেই ইন্টারনেট খরচও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতী এয়ারটেলের বকেয়ার পরিমাণ এতদিন পর্যন্ত ছিল 43,980 কোটি টাকা। যদিও কিছু টাকা পরিশোধ করলেও তাঁদের এখনো বাকি রয়ে গেছে 25,976 কোটি টাকা। পাশাপাশি ভোডাফোন আইডিয়ারও বকেয়া ছিল একসময় 58,254 কোটি টাকা- যার মধ্যে তাঁরা সাত হাজার কোটি টাকার বেশি মিটিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হিসাব অনুযায়ী, আগামী 31 শে মার্চের মধ্যে ভারতী এয়ারটেলকে 2600 কোটি টাকা এবং ভোডাফোন আইডিয়াকে প্রায় 5000 কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই অবস্থায় গ্রাহকদের হাত দিয়ে ঋণের টাকা তোলার দিকে নজর দিচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আগামী দিনে ঋণের বোঝা কমাতে টেলিকম সংস্থাগুলি 10 থেকে 27 শতাংশ পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহারের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবে এবার মোবাইল ব্যবহারকারীদের ওপর যে চাপ বাড়বে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। গ্রাহক পরিষেবা এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রাহক মহলে এবং টেলিকম সেক্টরে নানান আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। তবে টেলিকম বিশেষজ্ঞদের মতে, টেলিকম সংস্থাগুলিকে যে বিশাল ঋণভার শোধ করতে হবে, তার জন্য পরিষেবার মাসুল বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেদিকে কড়া নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!