এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবারের দিল্লী সফরের হাত ধরে কি মমতা ব্যানার্জ্জী সর্বভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় উঠে এলেন? চলছে আলোচনা সর্বস্তরে

এবারের দিল্লী সফরের হাত ধরে কি মমতা ব্যানার্জ্জী সর্বভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় উঠে এলেন? চলছে আলোচনা সর্বস্তরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্য যে দিল্লি চলো, তা নিয়ে এখন আর কোন দ্বিধা নেই। কার্যত অনেকটা সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের দিল্লি ভ্রমণ সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে অভিহিত হচ্ছে। একদিকে যেমন প্রশাসনিক বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিল্লি সফরে, ঠিক তেমনই উল্টোদিকে মোদি বিরোধী জোটকে আরও সক্রিয় করে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। গোটা সপ্তাহ জুড়ে দেশের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একজন এমন নেত্রী হিসেবে পেশ করলেন, যেখানে তিনি একই সাথে রাজ্যের স্বার্থ এবং দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মেনে চলতে পছন্দ করেন।

আবার অন্য দিকে তিনি বিরোধী দল বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতন ক্ষমতা রাখেন। প্রসঙ্গত এবারের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচির সূত্রপাত করেছিলেন। এরপর একের পর এক হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার মধ্যে যেমন ছিলেন কমলনাথ, অভিষেক মনু সিংভি আবার ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীও। কার্যত প্রথম থেকেই বাস্তব সত্য হিসাবে সামনে এসেছে, মোদি বিরোধী জোট তৈরি করতে গেলে সেখানে কংগ্রেসকে অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে। আর সেই বাস্তবতা মেনে কংগ্রেসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। যেমন- আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে সাংসদ কানিমোজি।  একইসঙ্গে জানা গেছে, মমতা ব্যানার্জ্জীর কথা হয়েছে শরদ পাওয়ার এবং লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গেও। কার্যত 24 শের নির্বাচনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়েছেন মোদি ও ভারতের লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু একজন মুখ্যমন্ত্রী, তাই রাজ্যের স্বার্থে তাঁকে কাজ করতেই হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেমন বৈঠকে বসেছেন ঠিক সেরকমই সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। দুটি বৈঠকেই তিনি রাজ্যের স্বার্থে সরব হয়েছেন। প্রধানত তার দাবি ছিল ভ্যাকসিন নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি রাজ্যের নাম বদল, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণের মতন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এই দুটি বৈঠকে উঠে আসে। অন্যদিকে বিজেপির বিরোধিতাকারীদের মধ্যে অন্যতম মানুষ হলেন শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতার। তাঁদের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী দেখা করে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে জাভেদ আখতার পরিবর্তনের কথাই বলেছেন। কার্যত বলাই যায়, বিজেপি বিরোধী সব রকম মাধ্যমের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন এই কদিনে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি দুই মাস অন্তর তিনি দিল্লী আসবেন। এখনো পর্যন্ত অবশ্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব কে দেবেন তা ঠিক হয়নি।

আর সেখানে খুব সুকৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একজন ক্যাডার হিসেবে তুলে ধরছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলের মধ্যে যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ভবিষ্যতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল নেত্রীর এবারের দিল্লি সফর রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে লেখা হবে। বিজেপিকে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে সরানোর জন্য অতি সুকৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পা ফেলছেন, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা যদি ঠিকঠাক ভাবে সমস্ত সমীকরণ মেনে চলে, তাহলে গেরুয়া শিবিরের উপর যে চাপ বাড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!