এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দল সাসপেন্ড করলেও শুভেন্দুর ‘আশীর্বাদ’ নিতে স্বপদে বহাল হেভিওয়েট নেতা! তীব্র বিতর্ক তৃণমূলে

দল সাসপেন্ড করলেও শুভেন্দুর ‘আশীর্বাদ’ নিতে স্বপদে বহাল হেভিওয়েট নেতা! তীব্র বিতর্ক তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাসপেন্ড হওয়ার পর আবার পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারে বসে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা। মাত্র আট মাসের মধ্যে আবার তার সক্রিয়তা এখন নানা মহলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, গত 6 ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের দিবাকর জানার নাম জড়িয়ে পড়ে। আর এর পরেই কোলাঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করলে গ্রেপ্তার হন সেই তৃণমূল নেতা। যার পরবর্তী সময়কালে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।

এদিকে দিবাকর জানা সাসপেন্ড হওয়ার পর সেই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শোভা সাউ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন। কিন্তু গত 20 ফেব্রুয়ারি জামিনে ছাড়া পান সেই দিবাকর জানা। সাম্প্রতিককালে আবার নতুন করে সেই দিবাকরবাবু সভাপতি পদে বসতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। আর সেই মত করেই শুক্রবার এগারোটার সময় নিজের অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে সভাপতির চেয়ারে বসেন সেই দিবাকর জানা।

কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেখানে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেখানে কেন আবার তিনি সভাপতির চেয়ারে বসলেন? জানা গেছে, এদিন চেয়ারে বসেই রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে দেখা যায় দিবাকরবাবুকে। তিনি পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশমত এই পঞ্চায়েত সমিতি চলবে। কিন্তু যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে দলকে পরিচালনা করার কথা বলছে, সেখানে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হলেও, কেন সেই সাসপেনশনকে না মেনে তিনি আবার চেয়ারে বসে পড়লেন!

এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, বর্তমানে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দলের অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনকি তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দিবাকর জানার মত সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিলেন, তাতে অধিকারী পরিবার অনেকটাই চাপে পড়ল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রায় সব মহলেই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন একজন সাসপেন্ডেড নেতা আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেয়ারে বসার সাহস পেলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে এই পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন বলেন, “দলের সাসপেন্ডেড একজন কি করে সভাপতির পদে বসতে পারেন? আমরা দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।” একইভাবে এই বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, “মানুষ তৃণমূলের সার্কাস বুঝে গিয়েছে‌। 2021 সালে তৃণমূল দলটা থাকবে না। এখন ওদের মধ্যে কোন্দল চলছে। তাই কখনও কাউকে চেয়ারে বসাচ্ছে, আবার কাউকে তুলে দিচ্ছে।”কিন্তু কেন এমনটা হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “সভাপতির চেয়ারে বসার ব্যাপারে আমরা কেউ কিছু জানি না। অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে।” তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই দিবাকর জানা অবশ্য অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। এদিন তিনি বলেন, “যে কয়েক বছর এই বোর্ড থাকবে, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ মতই চলবে। আমি তার সঙ্গে দেখা করব। তিনিই আমার সব। আমি জেলা সভাপতি এবং শুভেন্দুবাবুকে মেসেজ করে জানিয়েছি। তারা কোনো উত্তর দেননি। দলের কোনো একজনের আবেদনে আমি এতদিন চুপ করে ছিলাম।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দিবাকর জানার মত সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসায় তৃণমূলের শৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠে গেল। এছাড়াও যেভাবে তিনি সভাপতির চেয়ারে বসে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে শুরু করলেন, তাতে শুভেন্দুবাবুও যে অনেকটা চাপে পড়ে গেলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!