এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শ্রম আইনের হাত ধরে এবার পরিবর্তনের পালা শ্রমিকদের, তীব্র বিরোধিতা বিরোধীদের

শ্রম আইনের হাত ধরে এবার পরিবর্তনের পালা শ্রমিকদের, তীব্র বিরোধিতা বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ব্যাংক এবং রেল বেসরকারি হাতে যেতে চলেছে। এর সাথেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবার দেশের শ্রম আইনেও বদল আনতে চলেছে। কিন্তু এবার সত্যি সত্যিই হয়তো বাস্তবে শ্রম আইনে বদল আনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনেই শ্রম আইন বদলের কথা তুলবে কেন্দ্রীয় সরকার।

এবার শ্রম আইনে নতুন তিনটি বিধি যোগ করতে চলেছে কেন্দ্র। যদিও এই তিনটি ধারা সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, আগামীদিনে মালিকপক্ষকে তুষ্ট করার দিকেই নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতবছর জুন থেকেই শ্রম আইন বদল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার। তখনই এই আইনের 44 টি বিধি কমিয়ে চারটি করা পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চারটির মধ্যে ন্যূনতম বেতন, বোনাস, সমকাজে সমবেতন এর মতন কয়েকটি বিষয় জুড়ে একটি নতুন বেতন বিধি তৈরি হয় এবং তা সংসদে পাসও করে ইতিমধ্যে।

আপাতত আর তিনটি বিধি নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে তিনটি বিধি নতুন করে শ্রম আইনে যোগ হতে চলেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সামাজিক সুরক্ষা বিধি, মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক আর পেশাগত স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা বিধি। জানা গেছে সামাজিক সুরক্ষা বিধির অধীনে প্রভিডেন্ট ফান্ড, বীমা এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধায় বেশ কিছু বদল আসতে পারে। সূত্রের খবর, মালিকপক্ষের খরচ কমানোই মূল লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে কারণেই নতুন বিধি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বিধিটি মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। জানা গেছে, এর মাধ্যমে শ্রমিকদের দাবিদাওয়া এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এক্তিয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এবং সর্বশেষ পেশাগত স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা বিধির ফলে শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং তাঁদের অন্যান্য সুবিধা গুলি কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করার জন্য শ্রম আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

মনে করা হচ্ছে শিল্প কারখানার মালিকদের সুবিধার্থে শ্রম আইনে বদল আসছে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের কাজের সময় বাড়ানো হতে পারে নতুন শ্রম আইন অনুযায়ী। দেশের বিরোধী দলের মধ্যে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এই শ্রমনীতির তীব্র বিরোধিতা করে চলেছে। আগামী সংসদ অধিবেশনেও তাঁদের বিরোধিতা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সংসদে বিজেপির শক্তি যা আছে, তাতে এই বিল খুব সহজেই পাস হয়ে যাবে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম আইনে কি বদল আনতে চলেছে তার কিছুটা ধারণা যা পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে পরিষ্কার নতুন শ্রম আইন শ্রমিকদের পক্ষে হয়তো খুব একটা সুবিধাজনক হবেনা। পুরোপুরি মালিকদের করায়ত্ত থাকতে চলেছে আগামী দিনে শ্রমিকরা। এই অবস্থায় বিরোধীরা তীব্র বিরোধিতা চালালেও তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়েও থেকে যাচ্ছে সন্দেহ। তবে দেশের শ্রমিক গোষ্ঠী এই আইনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!