এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রক্তদান শিবিরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত, বিজেপির চক্রান্ত দেখছে তৃনমূল, পাল্টা গেরুয়া শিবির!

রক্তদান শিবিরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত, বিজেপির চক্রান্ত দেখছে তৃনমূল, পাল্টা গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর থেকেই অন্যান্য দল থেকে শাসক দলে যোগদানের হিড়িক বৃদ্ধি পেয়েছে। নীচুতলা থেকে শুরু করে উপরতলার বিজেপি নেতা, কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে বেশ কিছু ব্যক্তি শাসক দলে যোগদানের জন্য উপস্থিত হলেও, তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ তৈরি হল তৃণমূলের পুরনো নেতা-কর্মীদের।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার ইকরা এলাকায়। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। যদিও বা পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সূত্রের খবর, এদিন ইকরা প্রাথমিক স্কুলের সামনে তৃণমূলের বিদায় কাউন্সিলর রাখিদেবীর নেতৃত্বে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। যেখানে জেলা তৃণমূলের অনেক নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু সেই রক্তদান শিবির শুরু হওয়ার পরেই বেশকিছু মহিলা এবং পুরুষকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সেই শিবিরের উদ্দেশ্যে আসতে দেখা যায়। আর এরপরেই সেই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা শিবিরে আসা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের শাসক দলের পতাকা খুলে ফেলার আর্জি জানান। আর এরপরই শুরু হয় বচসা। যা পরবর্তীতে হাতাহাতির রূপ নেয়। অর্থাৎ একাংশ এই রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থ করেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে যেভাবে তৃণমূলের বর্তমান নেতৃত্বরা বাধা দিলেন, তাতেই রীতিমতো সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে উঠতে শুরু করেছে। একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে শাসক দল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপি। এদিন যারা রক্তদান শিবিরের উদ্দেশ্যে যোগ দিতে এসেছিলেন, তাদের দাবি, তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্যই এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃনমূল নেতা অরুণ সিংহ বলেন, “ওই মিছিলে থাকা কয়েকজন বিজেপির হয়ে ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। মিছিল থেকে এদিন তারা কার্যালয় দখলের হুমকি দিয়েছিলেন। তা মানা হবে না জানানোর কারণে বচসা হয়। তবে মারামারি হয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কেউ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইলেই তা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জামুরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংহ। এদিন তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে যারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা কারও খেয়াল খুশি অনুযায়ী তৃণমূলে যোগ দিতে চাইলেই তা মেনে নেওয়া হবে না। এদিন বিজেপি থেকে আসা কেউ রক্ত দিয়েছেন কিনা, তা দেখার সময় ছিল না। তবে মনে রাখতে হবে, বিজেপি ছেড়ে তারা এদিন তৃণমূলে যোগ দিতে এলেও এভাবে তা সম্ভব হবে না।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের ব্যাপারটি তুলে ধরা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির আহ্বায়ক শিবরাম বর্মন বলেন, “আমাদের দল ছেড়ে কেউ তৃণমূলে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বলে আমার জানা নেই। তৃণমূল আজকাল রক্তদান শিবিরের মধ্যেও বিজেপির ভূত দেখছে।” পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। যারা নির্বাচনের আগে ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

যদিও বা তৃণমূল নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কঠোর মনোভাব পোষণ করেছে। কাদের কাদের দলে নেওয়া হবে, আর কাদের নেওয়া হবে না, তার ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে‌। কিন্তু তার মাঝেই যেভাবে রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হল, তাতে এলাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!