এবার কি রাজ্যে উপনির্বাচনের পালা? কি বলছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন? জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য July 3, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচনের আর্জি জানিয়েছে। তবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। তবে এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিম্নমুখী। তাই এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্যসভার দুটি আসনে নির্বাচন করা যায় কিনা। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার দুটি আসন সহ বিধানসভার সাতটি আসনে বর্তমানে নির্বাচন করানো সম্ভব। নবান্ন থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বর্তমানে রাজ্যে চলছে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন। তাই রাজ্যসভার ভোটের জন্য সমস্ত বিধায়ককে পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিধানসভা ভোটে সবং আসন থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, তাই সেই আসনটি ফাঁকা। অন্যদিকে চলতি বছরের 12 ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, সেটিও ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়েছে এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে রাজ্যের অন্তত সাতটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী এবং সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী মন্টু বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। একইভাবে খড়দার তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী কাজল সিংহ ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রয়াত হন করোনা আক্রান্ত হয়ে। অন্যদিকে দিনহাটা এবং শান্তিপুরের জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে সাংসদ পদেই রয়ে গেছেন। একইসাথে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর সদ্য প্রয়াত হয়েছেন এবং সর্বোপরি উঠে আসছে ভবানীপুরের কথা। ভবানীপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করে সাংবিধানিক নিয়মে ফিরে আসতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে জানা গিয়েছে মোট পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন এবং দুটি কেন্দ্রে হবে সাধারণ নির্বাচন। উপনির্বাচনে যদি প্রচার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কোভিড পরিস্থিতিতে, তাতেও সম্মতি রয়েছে রাজ্য সরকারের। এই মর্মে রাজ্যে এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখতে চলছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত নতুন করে আবারও নির্বাচনের ডঙ্কা বাজতে চলেছে রাজ্যে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ওপর। আপাতত দেখার তাদের তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল কবে পাওয়া যায়! আপনার মতামত জানান -