এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > একুশের নির্বাচনে একঝাঁক নতুন মুখ এসেও হাল ফেরাতে পারলনা লালের, কার্যত মুছে গেল বাংলা থেকে

একুশের নির্বাচনে একঝাঁক নতুন মুখ এসেও হাল ফেরাতে পারলনা লালের, কার্যত মুছে গেল বাংলা থেকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার বিধানসভার নির্বাচন এবারে মারমার কাটকাট লড়াই হয়েছে। তবে প্রথম থেকেই প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে সামনে এসেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। অন্যদিকে জোট বেঁধে বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ উঠে আসে লড়াইয়ের ময়দানে। বামেরা এবারের নির্বাচনে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছিল লড়াইতে ফিরে আসার। এমনকি বাংলার ইয়ং জেনারেশনের মন পেতে নিজেদের দলেও বহু নতুন মুখকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল, বদল এসেছিল প্রচারের ভঙ্গিমাতেও। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল, সবকিছুই বিফলে গেছে। বাম এবং কংগ্রেস কার্যত বিলীন হয়ে গেছে এবারের নির্বাচনে।

নির্বাচনবিধি অনুযায়ী যদি কোন কেন্দ্রে মোট ভোটের এক ষষ্ঠাংশ ভোট না পায় কোন প্রার্থী, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। অর্থাৎ জমা রাখা টাকা কমিশন বাজেয়াপ্ত করবে। সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচনে বহু বাম, কংগ্রেস প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার মধ্যে যেমন নতুনমুখ রয়েছে ঠিক সেরকমই পোড়খাওয়া পুরনো রাজনীতিবিদও রয়েছেন। প্রথম থেকেই এবারের নির্বাচনে অন্যতম হাইভোল্টেজ এলাকা ছিল নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন বামেদের নতুন মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মীনাক্ষীকে সামনে এলে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক জনসমর্থন। কিন্তু তা সত্বেও ভোটবাক্সে কিন্তু মীনাক্ষী সেভাবে ছাপ ফেলতে পারলেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নন্দীগ্রামে তার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ছয় হাজারের কিছু বেশি। একইসাথে সিঙ্গুরে সৃজন ভট্টাচার্য, খড়দার দেবজ্যোতি দাস, জামুড়িয়ায় ঐশী ঘোষ, কল্যাণীর সবুজ দাস, রাজারহাট নিউটাউন এর সপ্তর্ষি দেবরায় কোনরকম সম্মানজনক লড়াই করতে পারেননি, বরং প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে নিজেদের কেন্দ্রে তৃতীয় হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই তালিকায় রয়েছেন শিলিগুড়ির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অশোক ভট্টাচার্য। একই রকম অবস্থা রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের। চাঁপদানি কেন্দ্রে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার মাত্র 11.57%। বরং সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও মুখ রেখেছেন প্রতিকুর, সায়নদীপ, দীপ্সিতা। অন্যদিকে যাদবপুরের সুজন চক্রবর্তী কিছুটা সম্মানজনক ভোট পেয়েছেন।

তৃতীয় স্থানে শেষ করেও তিনি 27 শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবার। যদিও একুশের নির্বাচনের ইতিহাসে ছিল বামেদের নতুন মুখের লড়াই, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তা সত্বেও ব্যর্থতাই মুখ্য হয়ে দাঁড়াল বামেদের জন্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যেকের বিচার হবে শুধুমাত্র ফলাফল দিয়ে। 34 বছর বাংলার শাসকের আসনে থাকা দলটি আজ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকারও যোগ্যতা হারিয়েছে। কার্যত রাজ্যের রাজনীতি থেকে প্রায় মুছে গেল বাম এবং কংগ্রেস। তবে বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বামেদের হিসাবের গন্ডগোল কোথায় হয়েছিল? যেখানে ব্রিগেডে এত ভিড় জমা হয়েছিল, ভোটবাক্সে তাহলে সেই ভিড় এলো না কেন? তাহলে কি বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে আই এস এফ এর সঙ্গে জোট বাঁধা?

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!