এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের মুখে কোলকাতায় উদ্ধার হওয়া কালো টাকা নিয়ে বড়সড় সূত্র ইডির হাতে

ভোটের মুখে কোলকাতায় উদ্ধার হওয়া কালো টাকা নিয়ে বড়সড় সূত্র ইডির হাতে

লোকসভা ভোটের মুখে কোলকাতায় উদ্ধার হওয়া কালো টাকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এলে ইডির। প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,এই কালো টাকা হওলার মাধ্যমে শহরে আনা হচ্ছিল। একাধিক রাজ্য ঘুরিয়ে কতগুলো কাগজের কোম্পানি খুলে ভুয়ো অার্থিক লেনদেন দেখিয়ে কোলকাতায় আনা হচ্ছিল টাকাগুলো। উদ্ধারিকৃত এই টাকা কাদের কাছে যেতে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু তদন্ত হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সন্দেহভাজনদের তালিকা থাকা নাম গুলো সম্পর্কে খোঁজখবরও শুরু হয়েছে।

তদন্ত সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে,গত এক সপ্তাহে কোলকাতার তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ,গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন। কোথা থেকে এ টাকা এল,এর নেপথ্যে কাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত রয়েছে তা এখনো সামনে আসেনি। তবে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান,ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্যে কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতার কাছে এগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।

এই টাকার সঙ্গে কোলকাতার কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ী জড়িত। এরা বেশিরভাগই নিউ মার্কেট এবং বড়বাজার এলাকায় ব্যবসা করেন। দিনকয়েক আগেই নিউ মার্কেট এলাকায় ইডি অফিসাররা কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ীর আস্তানায় তল্লাশি করে জানতে পেরেছেন,এখানে গোপনে বিপুল পরিমান টাকার লেনদেন চলছে। এরপর তদন্ত সূত্রে আরো সামনে আসে যে কোলকাতায় একাধিক কাগুজে কোম্পানি রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জিএসটি চালু হওয়ার পর বিগত এক বছরে এই কোম্পানির সংখ্যা আরো বেড়ে গিয়েছে। এই সব ভুয়ো কোম্পানির কর্ণধাররা অনেকেই হাওলা ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়েই কালো টাকা পাচার হচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এক্ষেত্রে কোলকাতাকেই সেফ প্যাসেজ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাওলার মাধ্যমে টাকা কোলকাতায় এনে তা অন্য কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে অথবা সেই টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে সোনা আমদানি করা হচ্ছে। ভোট ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে এই কালো টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল কিনা সেটাও এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখছে ইডির অফিসাররা।

উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় প্রচার কর্মসূচি নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতা রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। এরমধ্যে কালো টাকা পাচার কাণ্ডের পর্দাফাঁস হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ভোটের আগে মুখ পোড়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে যা একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীও আসতে শুরু করেছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গেলেন। সব মিলিয়ে টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!