এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > প্রথাগত শিক্ষায় চাকরি অমিল বলেই কারিগরি প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব রাজ্যের? জল্পনা বাড়ালেন মন্ত্রী

প্রথাগত শিক্ষায় চাকরি অমিল বলেই কারিগরি প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব রাজ্যের? জল্পনা বাড়ালেন মন্ত্রী

রাজ্যে বেকারদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে তৃণমূল জামানায়। পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মাত্রাছাড়া বেকারত্বও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও দিনের পর দিন বাড়ি বসে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।

একটার পর একটা বছর চলে যাচ্ছে,মিলছে না চাকরি। তাই এবার প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষা তথা কারিগরি প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যসরকার।এদিন সিউড়িতে ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।

অনুষ্ঠানে সাংসদ শতাব্দী রায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, পৌরপিতা উজ্জ্বল চট্ট্যোপাধ্যায়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। এদিন ডি আর ডি সি হল থেকেই তিলপাড়ার নতুন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী। কেন্দ্রটি ভালো করে ঘুরে দেখেন অতিথিরাও।

অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর বক্তব্যে পূর্ণেন্দু বাবু জানান, রাজ্যের কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ২০১৬ উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্যসরকার। সেই কাজগুলো যাতে ত্রুটিবিহীন ভাবে হয় তার জন্যে পশ্চিমবঙ্গ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের পরিচালনায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তাতেই এখানে প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে।

এজন্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার নাম। বীরভূমের সিউড়িতে এই প্রশিক্ষণ পর্বটির দায়িত্বে রয়েছে এম এস সলিউসান নামে এক বেসরকারি সংস্থা। গোটা রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫৮ হাজার ১৭০ জনকে প্রশিক্ষণের। পরে টার্গেট পৌছানোর জন্যে প্রক্রিয়ায় আরো বেসরকারি সংস্থাকে শামিল করা হবে।

এ প্রসঙ্গে,সিউড়ির বেসরকারি সংস্থা এম এস সলিউসান এর কর্ণধার(ডাইরেক্টার) মনোতোষ সাহা বক্তব্যে জানান,কৌশল ভারত বা স্কিল ইন্ডিয়া, জাতীয় স্কিল ডেভেলমেন্ট কর্পোরেশন ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার এটি রাজ্যে প্রথম প্রশিক্ষন কেন্দ্র।

আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে ছ’মাসের মধ্যে মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ, ডকুমেন্টস অ্যাসিসন্ট্যাস, হ্যান্ডরোল আগরবাতি মেকার ও জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি রিটেল সেলস অ্যাসোসিয়েটস এর মত কাজে প্রশিক্ষণ দেবে এই কেন্দ্র। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মোট ৭২০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে রাখা হবে ১৮০ জনকে।

এ প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দু বাবু আরো জানান,এই সব কেন্দ্র ছাড়াও রাজ্য সরকার কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিকের মাধ্যমে জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ও আই টি আই এর মাধ্যমে প্রশিক্ষিত অনেকেই বিভিন্ন কারখানায় কাজ পেয়ে যান। প্রথম ধাপে ২৫০০ স্কুলে কারিগরি বিষয়ে হাতে-কলমে শেখানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মোট ৬০০টি স্কুলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামোয় এই শিক্ষা দেওয়া হয়। যাঁরা বেশি পড়াশোনা করবেন না বা যারা করতে চান না তারা যাতে হাতের কাজ শিখে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পান সেই ব্যাপারেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের কয়েকটি আই টি আইতে, বড় কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে সিসি টিভি ইনস্টলেশান, স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, চারচাকার গাড়ি সারানো ও রং করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে এই মুহূর্তে। কোম্পানির চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় সহজেই কাজ পেয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাশাপাশি আই টি আই এর পুরনো মেশিনগুলির আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে সমান তালে। সঙ্গে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কৃষির ব্যাপারে প্রশিক্ষন দিতে ৭২ রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের ছেলে মেয়েরাও যাতে প্রযুক্তির হাত ধরে বেকারত্ব দূর করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এই সব প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু করেছে বলেই জানান পূর্ণেন্দু। রাজ্যসরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে ভুললেন না সাংসদ শতাব্দী রায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!