স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি যা বললেন – জানলে চমকে যাবেন কলকাতা রাজ্য August 29, 2019 লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নানান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস এখন রীতিমত কোণঠাসা বলে দাবি বিরোধীদের। কাটমানি থেকে মিড ডে মিল সবেতেই তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত ডুবতে বসেছে বলে রীতিমত সরব গেরুয়া-বাম-হাত সব পক্ষই। আর এই দাবি কোথাও গিয়ে মান্যতা পেয়েছে যখন দেখা যায়, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপুল পরিমাণে সমর্থন হ্রাসের ফলে শাসকদলের আসন সংখ্যা ৩৪ থেকে একধাক্কায় নেমে এসেছে ২২-এ। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত – রীতিমত অস্বস্তিতে এখন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার শাসকদলের অস্বস্তি বেশ কিছুটা বাড়িয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি দাবী করলেন, শিক্ষকদের সমস্ত দাবিদাওয়ার ভার ছিল বাম আমলের, কিন্তু সেগুলো তৃণমূল আমলে বয়ে এসে তাঁদের ঘাড়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ১০০০ শিক্ষককে তাঁদের পদ ফেরাতে হবে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে আসলে মুখ পুড়ল বামফ্রন্টের। ওই আমলেই প্রাথমিকে চাকরি না-পেয়ে মামলা করেন বেশ কিছু প্রার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার স্পর্ধা আমাদের নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ২০০৬ সালের বাম আমলে যে পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ২২ নম্বর বেসিক ট্রেনিং প্রাপ্ত প্রার্থীদের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০০৯ এর প্যানেলে বেশ কিছু প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে ঐ নাম্বার দেওয়া হয়না, ফলে তাঁরা চাকরিও পাননা। তাঁরাই এই বিষয়ে মামলা করেন এবং সেই মামলাই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়ে রায় বেরিয়েছে। তবে সর্ব্বোচ্চ আদালত এই ১০০০ শিক্ষক নিয়োগে কিছু শর্তও আরোপ করেছে প্রার্থীদের ওপর। মামলাকারী প্রার্থীদের কাছে মামলার প্রতিলিপি থাকতে হবে সাথে আরও বেশ কিছু নিয়মাবলী। প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের ওই কর্তাব্যক্তি জানান, ১০০০ জন শিক্ষককে নিয়োগ করতে রাজ্য সরকারকে খুব বেশী কষ্ট করতে হবেনা কিন্তু কিভাবে হবে সেটা একটু দেখার বিষয়। কারণ এই দায়ভার সম্পূর্ণ বাম আমলের বলে দাবী করেন তিনি। অন্যদিকে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের দাবি জানান বাম আমলের প্রতি যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “এখন এই সরকার দায়িত্বে রয়েছে। বিষয়টি দেখতে হবে তাদেরই। এই সরকার কোনও ভাবেই এর দায়দায়িত্ব এড়াতে পারে না।” সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভাল করে পড়তে হবে। দেখতে হবে, এই ধরনের বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা কত জন আছেন। তাঁদের নিয়োগের পরে কত অর্থ দিতে হবে। যে-সব প্রার্থী মামলা করেছিলেন, তাঁরা এখন কে কোথায় আছেন, তাঁদের কার কত বয়স – সবই খতিয়ে দেখতে হবে।” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার কিভাবে ১০০০ জনের শিক্ষকপদ ফিরিয়ে দেন সেটাই এখন আলোচ্য বিষয়। আপনার মতামত জানান -