এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের প্রাক্কালে অপরাধ দমনে বিশেষ উদ্যোগ পুলিশের

নির্বাচনের প্রাক্কালে অপরাধ দমনে বিশেষ উদ্যোগ পুলিশের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, বোমাবাজির ঘটনা। সংঘর্ষের ঘটনার ক্রমশ বৃদ্ধি ও রাজ্যের নানা স্থান থেকে বেআইনি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিশের। সম্প্রতি কলকাতা ও নিকটবর্তী এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে গোলাগুলির ঘটনা। রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, প্রোমোটিং, এলাকা দখলের কারণে চলছে গুলি। যা চিন্তিত করেছে পুলিশকে।

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গোলাগুলির উপরে রাশ টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিলো পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা একাধিক থানাকে এ বিষয়ে সতর্ক করলেন। মাসিক ক্রাইম বৈঠকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে একাধিক থানাকে। জানানো হয়েছে বেআইনি অস্ত্রর চোরাচালান যেভাবে হোক বন্ধ করতে হবে। এর ফলে গোলাগুলির ঘটনাকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। প্রত্যেক থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এলাকায় গন্ডগোল বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে অপরাধীদের খোঁজ রাখতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত দুমাস ধরে কলকাতা ও কলকাতার নিকটবর্তী অঞ্চলে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটছে বারবার। গত ৬ ই জানুয়ারি বরানগরে রাজনৈতিক কারণে গুলি ছোড়া হয়েছিল। গত ৮ ই জানুয়ারি আনন্দপুরে গুলিতে আহত হন দুজন ব্যক্তি। প্রমোটিং এর ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়েছিল। গত ২২ সে জানুয়ারি চিৎপুরে গুলি লেগে একজনের মৃত্যু হয়। পারিবারিক গন্ডগোল থেকে যা ঘটেছিলো। গত ২৩ সে জানুয়ারি গুলিতে আহত হন এক ব্যক্তি বেলুড়ে। বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ ছিল এটি।

গত ২৯ সে জানুয়ারি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল ট্যাংড়াতে। আবার প্রমোটিং ও এলাকা দখলের কারণে গত ২৯ সে ডিসেম্বর হাওড়ার শালিমারে গুলিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তার সঙ্গী গুলিতে আহত হয়েছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর মধ্যমগ্রামে এক ব্যক্তির গুলিতে মৃত্যু হয়। এর কারণ ছিল এলাকা দখল, প্রোমোটিং। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে বড়বাজার, রবীন্দ্র সরণি এলাকাতে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের পরিভাষায় যারা যারা এলাকায় গন্ডগোল বাধায় তাদের বলা হয় ট্রাবল মঙ্গার্স। আবার, যারা দীর্ঘ সময় ধরে অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে, যারা বেআইনি অস্ত্র রাখে, তোলাবাজি করে, কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে গন্ডগোল বাধায় ও যাদের নাম পুলিশের খাতায় একাধিকবার উঠে এসেছে, ইতিপূর্বে জেলও খেটেছে তাদের বলা হয় হিস্ট্রি শিটার। সম্প্রতি, এই দুধরণের অপরাধীদের খুঁজে বের করার কাজে থানা গুলিকে তৎপর হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখাও এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!