এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঈদের নামাজে ঢালাও অনুমতি! ‘মুসলিম ভোটব্যাংক’ নিয়ে মমতাকে চিঠি ‘অরাজনৈতিক মুসলিম নাগরিক’-এর

ঈদের নামাজে ঢালাও অনুমতি! ‘মুসলিম ভোটব্যাংক’ নিয়ে মমতাকে চিঠি ‘অরাজনৈতিক মুসলিম নাগরিক’-এর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাস যখন হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে, তখন মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে বেশ কিছু দিন নির্ধারণ করে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে প্রথম থেকেই সেই লকডাউনের দিন ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছিল। বিভিন্ন দিন নিয়ে আপত্তির কারণে রাজ্য সরকারকে বারবার সেই দিন পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবে দেখা গেছে ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে লকডাউন পরিস্থিতিকে কিছুটা শিথিল করে তাতে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই নামাজের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব পালন করা হয়নি বলে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল অরাজনৈতিক মুসলিম নাগরিক।

সূত্রের খবর, সোমবার “অরাজনৈতিক মুসলিম নাগরিক ” বলে পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকজনের স্বাক্ষরিত একটি ইমেইল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মসজিদে নামাজের জমায়েতে মাস্ক পরে লোকে ঢুকলেও পারস্পরিক দূরত্ব রাখা কার্যত সম্ভব হয়নি। এই অবস্থা চলতে থাকলে বিপদজনক দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। যা আরও অজস্র ধর্মীয় জমায়াতের জন্য যথেচ্ছাচারের বাঁধ খুলে দেয়।” চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, তথাকথিত মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের ধারণা থেকে সরকার বেরিয়ে এসে কাজ করুক।

অর্থাৎ এই অরাজনৈতিক মুসলিম সংগঠন বলে যারা পরিচয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেইল করলেন, তাদের বক্তব্যে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, নামাজের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেওয়া হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব পালন হচ্ছে না। যার ফলে বড়সড় বিপদ ভবিষ্যতে আসতে পারে। শুধু তাই নয়, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলো তাদের ক্ষেত্রগুলোতে শিথিলতার ব্যাপারে সরকারের কাছে দাবি জানাবে। যার ফলে প্রক্রিয়া সমস্ত রূপে ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এই সংগঠন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই ভোটব্যাঙ্কের কথা চিন্তা না করে বর্তমানে বাংলাকে বাঁচাতে সরকারকে এই ব্যাপারে কড়া হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাহিত্যিক বাণী বসু। তিনি বলেন, “সংখ্যাগুরু সমাজের মধ্যে অনেকে উৎসব এড়িয়ে চলতে চান। রাজনীতিকে জব্দ করতে সময় সময়ে এই কথাগুলো শুনিয়ে দেওয়া দরকার। যেমনটি কয়েকজন মুসলিম সহ নাগরিক পেরেছেন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা সত্যিই একটা যুগান্তকারী ঘটনা। যেভাবে মুসলিম সহ বেশকিছু নাগরিক নামাজের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও কড়া হওয়ার কথা বললেন, তাতে তাদের কাছে যে জীবন আগে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। এখন সরকার এই চিঠি পাওয়ার পর এই বিশেষ ক্ষেত্রে আরও কড়া মনোভাব পোষণ করে, নাকি হালকা করেই রাখে লকডাউন প্রক্রিয়া, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!