এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর খুন হওয়া বিজেপি নেতার পরিবারের!

দুই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর খুন হওয়া বিজেপি নেতার পরিবারের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল। কে বা কারা তাকে খুন করেছে, তা নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই তৃণমূল-বিজেপি তরজা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর এবার অবশেষে মনীশ শুক্লের খুনের ঘটনায় তার বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল ব্যারাকপুর এবং টিটাগর পৌরসভার প্রশাসক সহ সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করলেন।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের নামে এফআইআর হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার পরেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তৃনমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। কিন্তু এবার নিহত বিজেপি নেতার বাবা যেভাবে একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করলেন, তাতে শাসকদল অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, টিটাগর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুর পৌরসভার বিদায়ী পৌরপ্রধান উত্তম দাস সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন চন্দ্রমণি শুক্ল। যেখানে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, প্রশান্ত চৌধুরী এবং উত্তম দাস এলাকার মহম্মদ খুররম খান, রঞ্জিত পাল, বাটুল আরমান মন্ডল এবং ভোলা প্রসাদের মত কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের দিয়ে তার ছেলেকে খুন করিয়েছে।

এছাড়াও এই ঘটনায় রাজেন্দ্র যাদব এবং নাজির খান নামে দুই তৃণমূল নেতা জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহত বিজেপি নেতার বাবা। এদিন এই প্রসঙ্গে চন্দ্রমণি শুক্ল বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থেই তৃণমূলের নেতারা আমার ছেলেকে খুন করেছে।” তবে তদন্তকারীদের একাংশ অবশ্য বলছেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছে। এর পেছনে রাজনীতির কোনো যথার্থ কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেভাবে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে তিনি কি বলবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “খুররমের সঙ্গে এরকম পরিকল্পনা করে খুন করা অসম্ভব। এ আরও অনেক বড় কোনো পেশাদারী অপরাধীর কাজ। শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। দলের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি। দল নির্দেশ দিলে আদালতে জামিনের আবেদন জানাব।” এদিকে এই খুনের সঙ্গে মহম্মদ খুররম খান জড়িত বলে নিহত বিজেপি নেতারা দাবি করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছেন খুররম খানের কাকা রাজু খান। এদিন তিনি বলেন, “খুররমের সঙ্গে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই গোলাপ শেখ খুররমের কাপড় ব্যবসায়ী কর্মী। সংঘাত ছিল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, খুররম খুন করবে বা করাবে।”

কিন্তু যেভাবে এতদিন এই বিজেপি নেতার খুন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলেছে, তাতে এবার নিহত বিজেপি নেতার বাবা যেভাবে একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে খুনের অভিযোগ করলেন, তাতে কি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? নাকি এক্ষেত্রে প্রশাসন নীরবতা পালন করবে? এদিন এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “গোটাটাই তদারকি করা হচ্ছে নবান্ন থেকে। প্রতিটি অগ্রগতি সেখানে জানানো হচ্ছে। নবান্ন যেরকম নির্দেশ দেবে, সেই অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” তবে যদি এফআইআর দায়েরের পরেও পুলিশ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে বিজেপি বা নিহত বিজেপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে দেখা যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!