এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবার আমাজন-ফ্লিপকার্টকে নিয়ে বড়সড় ভাবনা রাজ্য প্রশাসনের

কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবার আমাজন-ফ্লিপকার্টকে নিয়ে বড়সড় ভাবনা রাজ্য প্রশাসনের

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের আমলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে তরফে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন ভাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেকার যুবক যুবতীদের জন্য নতুন কোনো কর্মসংস্থানের বাণী না দেওয়ায় হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু এবার বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্যের জেলাগুলিতে হতে চলেছে জব ফেয়ার।

জানা গেছে, যে জব ফেয়ারে ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনের মত সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করবে। এখনও এনিয়ে দিনক্ষণ ঠিক না হলেও জোরদারভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে। যেখানে রাজ্যের নানা নার্সিংহোমগুলোতে এই জব ফেয়ারের মাধ্যমে আবেদনকারীদের চাকরির সুযোগ করে দেবে প্রশাসন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই মেলায় বিভিন্ন শিল্প সংস্থা তাদের নির্দিষ্ট স্টল নিয়ে হাজির থাকবেন। তবে মোট কতগুলো সংস্থা এই ইন্টারভিউ নিতে আসবে, তা ঠিক না হলেও দুদিন ধরে যে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে, তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।

এমনকি প্রশাসনিক ভবনগুলিতে কোন কোন পদে কত কর্মী নেওয়া হবে, কোন সংস্থা সেই কর্মী নেবে এবং সেই পদের জন্য কি কি কি যোগ্যতা লাগবে সবটাই হোর্ডিং দিয়ে উল্লেখ করে দেওয়া হবে। জানা গেছে, কৃষ্ণনগর শহরের একটি নার্সিংহোমে একজন ডেটা অপারেটর নেওয়া হবে। সেখানে একটি মাত্রই পোস্ট রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নোডাল অফিসার নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি জব ফেয়ার করার ব্যাপারে আমাদের ইচ্ছা হয়েছে। মূলত উৎকর্ষ বাংলায় আমরা যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তাদের চাকরি সংস্থান যাতে হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারা কারা, কোন যোগ্যতায় সেখানে আসতে পারবেন, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তবে করিমপুরে ভোট ঘোষণা করতে দেরি হতে পারে। নির্বাচনের জন্য সেই প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।”

বস্তুত, গত 2016 সাল থেকেই রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক, যুবতীরা বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন। যার ফলে সরকারি আইটিআই কলেজগুলোতে যে ধরনের কোর্স পড়ানো হয়, সেই ধরনের কোর্সই বেকার যুবক-যুবতীরা নিখরচায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে করতে পারছেন। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া যায়, তার জন্য প্রশাসনের তরফে নানা বৈঠকও করা হচ্ছে।

আর এবার জব ফেয়ার প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ফ্লিপকার্ট, আমাজনের মত নামী সংস্থাগুলিকে রাজ্যে এনে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে জব ফেয়ার আসলেও যেখানে শূন্যপদ 439 ছিল, সেখানে 6204 টি আবেদন করা ছিল। কিন্তু সবশেষে দেখা যায়, 119 জন নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ফলে সব জেলায় জব ফেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের নতুন দিশা খোলার চেষ্টা করলেও আদৌ যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া যাবে কিনা! এখন তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!