এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভার আগে কলকাতা পুর এলাকার মধ্যেই সিন্ডিকেট নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে

লোকসভার আগে কলকাতা পুর এলাকার মধ্যেই সিন্ডিকেট নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে

ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার সেই লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিন্ডিকেট এবং এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা পৌরসভার 121 নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্ল সেন কলোনী। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া গন্ডগোল সোমবার ভোররাত পর্যন্ত চলে। কিন্তু কার কার মধ্যে এই গন্ডগোল? বিষয়ই বা কি ছিল?

স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় সিন্ডিকেটের ব্যবসা করেন তৃণমূল যুব নেতা হিসেবে পরিচিত বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। আর এই বাবানেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে এলাকায় পরিচিত তৃণমূলের বুনো চক্রবর্তী। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই দুজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু রবিবার রাতে সেই বিরোধ চরম আকারে পৌঁছয়।

সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তারই বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত বুনো চক্রবর্তী এবং তার ঘনিষ্ঠদের ওপর মত্ত অবস্থায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনাতেই মোট সাত জন আহত হয় বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, “আমি এদিন ছেলের জন্য যখন খাবার আনতে বেরিয়েছিলাম তখনই দেখি আট-দশটা বাইক নিয়ে বাবান আর তার দলবল মিলে বুনো এবং বিশুর নামে গালিগালাজ করছে। আর সেখানেই আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়। বাবানের লোকজন গুলিও চালায়।” এদিকে গুলি চালানোর ঘটনাকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃনমূল নেতা বাবান বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বলেন, “রবিবার রাতে বুনোর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিশু জুয়া খেলার সময় মদ্যপ অবস্থায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। তারপরই বুনোর লোকজন সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। আর আমি সেই খবর পেয়ে বেহালা থানার বড়বাবুকে ফোন করি। সাধারণ মানুষকে কেন এভাবে মারধর করা হবে তা নিয়ে আপত্তি জানাই। আমি কোনোভাবেই এই গণ্ডগোলের সাথে জড়িত নই। আসলে তৃণমূলের নেতা হিসেবে সমাজসেবা করি বলে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এহেন গন্ডগোল প্রকাশ্যে আশায় এটাকে বিরোধী দল বিজেপির ষড়যন্ত্র হিসেবেই উল্লেখ করছে ঘাসফুল শিবির। তবে শাসক দল যাই বলুক না কেন, এদিন বাবান এবং বুনোর এই গন্ডগোল যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সিন্ডিকেট নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সেই রাজ্যের শাসক শিবিরেরই মাথাব্যথা বাড়াবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!