এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একের পর এক পদ থেকে ছাঁটাই! শিশিরকে নিয়ে মুখ খুললেন পুত্র শুভেন্দু!

একের পর এক পদ থেকে ছাঁটাই! শিশিরকে নিয়ে মুখ খুললেন পুত্র শুভেন্দু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এক পরিবারে এক ছাদের তলায় থাকেন তারা। এতদিন সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্য ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই কাঁথির শান্তিকুঞ্জের অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে ধরিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের পতাকা। তবে বাবা শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন‌। ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মত দাপুটে ব্যক্তি তার বাবা এবং তার ভাইকে তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ে আসবেন না, এমনটা মানতে নারাজ কোনো পক্ষ।

আর এই পরিস্থিতিতে যখন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই দীঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল সেই শিশির অধিকারীকে। যেখানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান করা হয়েছে শিশিরবাবুকে। স্বাভাবিকভাবেই শিশির অধিকারীর সঙ্গে কি এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হতে করতে শুরু করল! আর তাই তাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এবার তার প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে তার বাবাকে পদ থেকে সরিয়ে দিল, সেই ব্যাপারে মুখ খুললেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এদিন ভগবানপুরের অর্জুননগরে বিজেপি তপশিলি মোর্চার জনসভায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রাক্তন নেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা তাদের পার্টির ব্যাপার। আমি তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি করি না। আর তাই আমি ওই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সম্পর্কে বলব না। ওরা কর্মচারী খোঁজে, তাই কর্মচারী খুঁজে নেবে। যারা কর্মচারী হিসেবে থাকতে চায় না, তারা বেরিয়ে আসবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তিনি দল ছেড়েছেন। আর তার কারণেই তার বাবাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই তার জবাব দিতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমার পরিবার আছে। আমার বাবা মা সুস্থ থাকুক, এটা চাইব। আমি কি রাজনীতি করব, আমার বাবা মা বলে না। আর আমার বাবা-মা কি রাজনীতি করবে, এটা আমি বলি না।”

স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কার্যত পরিষ্কার করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঠিক করে দেন না যে, কিভাবে সকলে রাজনীতি করবে! অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন, তাদের নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এক্ষেত্রে শিশির অধিকারীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূলকে যেমন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দুবাবু, ঠিক তেমনই বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারের সবাই নিজের স্বাধীন মত চলে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে, তাই শিশিরবাবু ডানা ছাটা হল বলে একাংশ দাবি করলেও, তা যে সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তা বলাই যায়। তবে শুভেন্দুবাবু যেভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করে সরব হলেন, তাতে শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার কি বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শিশির অধিকারী! এখন সেই প্রশ্নই জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!