নির্বাচনে তৃণমূলের দুটি লক্ষ – এক, সব আসনে জেতা, দ্বিতীয়ত, নতুন প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – লক্ষ্যপূরণ হবে কি? কলকাতা জাতীয় রাজ্য April 3, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের মসনদের চাবিকাঠি যাতে তাদের হাতে আসে তার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলায় থাকা 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টা আসন দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি বহুদিন পর বাংলা থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তা সকলের অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার হবে বলে ইতিমধ্যে বাঙালিদের আবেগকে উসকে দিতেও সক্ষম হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তারা। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতীয় নেত্রী হওয়ার চেষ্টায় ইতিমধ্যেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে তার প্রচার তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার 42 টি আসনে লড়ছে। বাইরের রাজ্যগুলিতে দুই একটি আসনে সেইভাবে প্রার্থী দিলেও বাংলার বাইরে তৃণমূলের প্রভাব অতটা বিস্তৃত হয়নি। ফলে যদি 42 টি আসনেই তৃনমূল জয় লাভ করে, তাহলে 42 টি আসন নিয়ে তারা কেন্দ্রে সরকার গড়ায় শামিল হয়ে যদি তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করানোর দাবি জানায়, তাহলে অন্যান্য বিরোধী দলগুলো আদৌ কি তা মানবে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, একদিকে রাজ্যের 42 এ 42, আর অন্যদিকে সেই সবকটি আসনেই জয়ী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করানোর স্বপ্ন – এই দুই ইচ্ছেকে সামনে রেখেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে এই রাজ্যে প্রবল পরিমাণে বিজেপির উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। বাংলা থেকে 22 থেকে 23 টি আসন নিজেদের দখলে রাখবার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর বিজেপির সেই টার্গেট যদি পূরণ হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো দূর অস্ত, বাংলার দখল তৃণমূলের হতে থাকবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে তৃণমূল অবশ্য দাবি করতে শুরু করেছে, “এই রাজ্যে বিজেপির তেমন কোনো সংগঠন গড়ে ওঠেনি। ফলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই 42 টি আসন উপহার দেবে এবং কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে।” অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে এবং রাজ্যের 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখার জন্য তৃণমূলের স্বপ্নকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে চন্দ্রবাবু নাইডু, রাহুল গান্ধীরা তাকে মানবেন না। তাই তৃণমূলের এই স্বপ্ন বৃথা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজা চলবে। তবে আসল কথা বলবে ভোটব্যাঙ্ক এবং রননীতি। তাই শেষ পর্যন্ত 23 শে মে ভোট বাক্স খোলার পরই বাংলায় কে শেষ হাসি হাসবে তা দেখার জন্য যেমন নজড় থাকবে, ঠিক তেমনি কেন্দ্রীয় সরকার গড়তে কারাই বা নির্ণায়ক ভূমিকা নেয়, আদৌ বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জোরালো ভাবে তুলতে পারে কিনা তৃণমূল এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -