এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কৃষকদের ঋণমকুবের ‘রাজনীতি’ নিয়ে এবার বিস্ফোরক রঘুরাম রাজন – পুরোটা জানলে চমকে যাবেন!

কৃষকদের ঋণমকুবের ‘রাজনীতি’ নিয়ে এবার বিস্ফোরক রঘুরাম রাজন – পুরোটা জানলে চমকে যাবেন!


লোকসভা ভোটের আগে শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কৃষকদের ঋণ মুকুবের রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল রঘুরামকে। বিস্ফোরক উক্তিতে জানালেন,কেবল ভোটব্যাঙ্কে জোয়ার আনতে অকৃপণভাবে কৃষকদের ঋণ মকুব করতে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ভোটের মুখে শুধু নিজেদের জনপ্রিয়তার খাতিরে তড়িঘড়ি করে ঋণ মকুব করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া কখনোই উচিৎ নয়। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্যে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর। তিনি চিঠিতে গোটা বিষয়টা জানিয়েছেন বলেও দাবী করেছেন রাজন।

প্রসঙ্গত, কৃষিপ্রধান এই দেশে কৃষকদের বড়সড় ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতে নির্বাচনের আগে প্রায়শই কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতেও সেটা দেখা গিয়েছে। এসব রাজ্যে কংগ্রেস,বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কৃষকদের মন জিততে নির্বাচনী ইস্তাহারে কৃষিঋণ মকুব ও ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে রাজন জানিয়েছেন, ভোটের আগে শুধুমাত্র জেতার জন্য জন্য এই ধরণের প্রতিশ্রুতির সাফ বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর মতে,কৃষকদের দুরবস্থার কথা ভাবা এবং তার সমাধান করা আব্যশিক। কিন্তু শুধুমাত্র ঋণ মকুব করলেই যে চাষীদের সমস্যা সমাধান হবে এ ধারণা ভুল।

সবার আগে,দেশের মোট কৃষকদের কত জন না কত শতাংশ ওই ঋণ পেয়ে থাকেন তা আগে জানা দরকার। হাতে গোনা কয়েকজনই এই ঋণ পেয়ে থাকেন। দেখা গেছে,যেসব কৃষকদের সঙ্গে উপরমহল বা রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে শুধুমাত্র তাঁরাই ঋণ পাচ্ছেন।

প্রকৃত প্রয়োজন যাদের তাঁরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো চরম সংকটে পড়েছে। দেশের অর্থনীতির উপর এর গভীর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কৃষিতে বিনিয়োগের পথটাই সংকীর্ণ হচ্ছে ক্রমশ। এমনটাই মনে করছেন তিনি। তাই ভোটে জেতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এই ছলচাতুরি বন্ধ করতে গোটা বিষয়টা লিখে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন তিনি।

এর পাশাপাশি কেন্দ্রের ক্ষমতায় যখন যে দল থাকে তখন সেই দল প্রায়শই তাদের আমলে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে প্রচার চালাতে থাকে। সরকারের এই ঢাকা পেটানো মনোবৃত্তিরও কঠোর সমালোচনা করলেন রাজন। বেশি কিছু প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্র সরকারকে।

জিডিপির হার বাড়লে কি দেশের বিপুল সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়? বেকাররা কি চাকরি পাচ্ছেন? মানুষের আয় কি বৃদ্ধি হচ্ছে? দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা কি দিন দিন কমছে? যদি তা না হয় তা হলে এতটা বাড়ল কি অতটা বাড়ল বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করার যৌক্তিকতা কোথায়? এটা পরিষ্কার যে জিডিপি বাড়লো কর্মসংস্থান বাড়ে না। তার জলন্ত উদাহরণ রেলমন্ত্রক। কারণ রেলমন্ত্রক সম্প্রতি ৯০ হাজারের শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করলে ২৫ লাখ বেকার আবেদন করছেন। দেশে বেকারদের সংখ্যা যে কতোটা ভয়াবহ সেটারই প্রমাণ দিয়ে দিল এটা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রঘুরাম রাজনের এই বক্তব্য যে মোদীসরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এমনিতেই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জোর ধাক্কা পেয়েছে বিজেপি। তার উপর কৃষিঋণ মকুব প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধে নির্বাচন কমিশনকে রাজনের চিঠি বিজেপি সরকারকে আরো কোনঠাসা করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!