এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের বড়সড় নিয়োগের ঘোষনা মমতার! বাস্তব নাকি ভাঁওতা ? কড়া প্রশ্নে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি!

ফের বড়সড় নিয়োগের ঘোষনা মমতার! বাস্তব নাকি ভাঁওতা ? কড়া প্রশ্নে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে চাকরি নেই, বেকাররা কেঁদে মরছে, অথচ নিয়োগ করার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এবার পুজোর আগে নিজের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রায় 12 হাজার পুলিশ কনস্টেবল রাজ্যে নিয়োগ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই অনেকে খুশি হলেও বিরোধীরা কিন্তু যথেষ্ট সন্দিহান। তাদের একটাই প্রশ্ন, কবে এই নিয়োগ হবে? যতক্ষণ না নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ সরকারের মন্ত্রীদের কথায় বিশ্বাস করে কোনো লাভ নেই।

প্রসঙ্গত, শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে আজ তার বাড়িতেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, রাজ্যে পুলিশে 12 হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে সকলেই খুশি। রাজ্য সরকার অন্তত কর্মসংস্থানের ব্যাপারে ভাবছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে ভাবছে, এটা নিয়ে কারওর প্রশ্ন তোলার কোনো জায়গা নেই। কিন্তু এই সরকারের প্রতি ভরসা করতে অনেকেরই কুণ্ঠাবোধ হচ্ছে।

একাংশের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে চাকরি প্রার্থীদের অনেকে প্যানেল ভুক্ত হয়েছেন। অনেক চাকরি প্রার্থীরা সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারপরেও তারা আন্দোলনে বসে রয়েছেন। অথচ সরকার তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে না। সেখানে পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে এই বড় বড় ঘোষণা হয়ত সরকার পক্ষ করে দিল। কিন্তু বাস্তবে তা কবে ফলপ্রসূ হবে, সেটা দেখার বিষয়। তা না হলে আগেই এটা নিয়ে মাতামাতি করার মত বিষয় আসেনি বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, সরকারের গঠনমূলক কাজে তারা সহযোগিতা করতে রাজি। সরকার যদি সত্যিই নিজেদের ঘোষণা মত প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এবং আগামী দিনে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে সবার আগে খুশি হবে বিরোধীরা। কিন্তু এই রাজ্যের ওপর এত সহজে ভরসা করা যায় না। যারা প্যানেল ভুক্ত হওয়ার পরেও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন করে না, তারা এত সহজেই পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, এটা বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। তাই যতক্ষণ না সরকার নিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে পুলিশের, ততক্ষণ এই বড় বড় ঘোষণায় চিড়ে ভিজবে না। যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুক রাজ্য সরকার। তা না হলে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসা যেভাবে তলানিতে ঠেকেছে, তা আরও দীর্ঘায়িত হবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে চাকরির ঘোষণা সরকারের মুখ থেকে, এযেন একটা কল্পবিজ্ঞানের গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। যে সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ার সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরেও কিছু ছেলে মেয়েকে চাকরি করে দিতে পারে না, আন্দোলনে বসে থাকার পরেও সেই ছেলেমেয়েগুলোর চোখের জল মোছাতে পারে না, সেই সরকারের কাছ থেকে এত বড় বড় ঘোষণা দেখে হতবাক একাংশ। তাই বিরোধীদের সুরে সকলেই বলছেন, আগে পুলিশের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্ব শুরু করুক সরকার। তারপরে তাদের ওপর ভরসা করা যাবে। তা না হলে বৃথা এই ব্যাপারে আশা করে মাথা কুটতে হবে রাজ্যের যুব সমাজকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!