এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ, শেষমেষ লোক দেখানোর মরিয়া চেষ্টা! কটাক্ষ বিজেপির!

মমতার বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ, শেষমেষ লোক দেখানোর মরিয়া চেষ্টা! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ধুপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনো রকমে সেই আসন জিততে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই নতুন বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূলের যুবরাজ এই কেন্দ্র নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি কবে পূরণ হবে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছিল যে, তাহলে কি ভোটে জেতার জন্য এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন তা ভুলে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা? এতদিন পায়ে চোট থাকার কারণে নবান্নে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এদিন নিজের বাড়িতে মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর ভার্চুয়ালি পূজা উদ্বোধনে তিনি সেই ধুপগুড়িকে মহকুমা করার কথা ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন যে, রাজ্য মন্ত্রীসভায় এই ধুপগুড়িকে মহকুমা করার বিষয়ে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। তবে প্রস্তাব তো পাস হয়ে গেল। কিন্তু পরিকাঠামো গত ভাবে কি ধুপগুড়ির উন্নয়ন হবে, নাকি নামেই তাকে মহাকুমা করে দিয়ে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করবে রাজ্যের শাসক দল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

বলা বাহুল্য, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ধুপগুড়িতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেখানে তৃণমূল জয়লাভ করে। তবে তৃণমূলের জয়ের পিছনে মহকুমার প্রতিশ্রুতি একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে বলেই মনে করেছিলেন সকলে। কারণ সাধারণ মানুষ খুব ভালো মতো জানেন যে, এই একটা উপ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের সরকার পরিবর্তন হয়ে যাবে না। তাই সরকার যখন ক্ষমতায় থাকবে, আর সেই সরকারে যখন থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন স্থানীয় বিধানসভায় তৃণমূলকে না জেতালে সাধারণ মানুষের লোকসান হতে পারে। তাই তারা নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে উন্নয়নের কথা ভেবেই তৃণমূলের দিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে মানুষও এতদিন নজর রাখছিলেন যে, মহকুমা কবে হবে? অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করলেন। কিন্তু এখন একটা বড় প্রশ্ন আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, মহাকুমার ঘোষণা তো হয়ে গেল। কিন্তু গঠনগত ভাবে, পরিকাঠামো গত ভাবে এলাকার উন্নয়ন সেই মহকুমার ভিত্তিতে করতে পারবে তো রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমালোচকদের মধ্যে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রিসভায় মহকুমা বিষয়টি পাস হয়ে গিয়েছে বলে জানালেও, তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, এটা আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল খুব ভালোমতো জানে, লোকসভায় উত্তরবঙ্গে তারা ধসে পড়বে। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। তাই কোনো রকমে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য এবং মানুষের মন পেতে এই মহকুমা ঘোষণা রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গিয়েছে বলে দায় সারলেন। কিন্তু মহকুমার স্বীকৃতি তখনই ধূপগুড়ি পাবে, যখন পরিকাঠামোর দিক থেকে তার উন্নয়ন হবে। এলাকার উন্নয়ন দু চোখে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তার আগে সরকারের এই বড় বড় ঘোষণাতে মানুষের মন গলবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকার শুধু মুখেই বড় বড় ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে গঠনগত উন্নয়ন তাদের পক্ষ থেকে কোনোকালেই দেখা যায়নি। এবারে হয়ত ধুপগুড়িতেও তাই হবে। ফলে সাধারণ মানুষের এই সরকারের প্রতি যে আশা ছিল, যে আশা নিয়ে তারা উপনির্বাচনে তৃণমূলকে জিতিয়েছিলেন, তা মুখ থুবড়ে পড়বে। আর তখন মানুষ তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী লোকসভায় তৃণমূলকে মোক্ষম জবাব দেবেন। তবে যদি সত্যিই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়, তাহলে আগামী দিন ধুপগুড়িতে তৃণমূল নিজেদের ভিত আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!