এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ফুরফুরা শরীফে দাঁড়িয়ে বড়সড় ঘোষণা অধীরের, ২০২১ এর আগে জল্পনার পারদ ক্রমশ চরছে!

ফুরফুরা শরীফে দাঁড়িয়ে বড়সড় ঘোষণা অধীরের, ২০২১ এর আগে জল্পনার পারদ ক্রমশ চরছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট বদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাম কংগ্রেস জোট বদ্ধ হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আবহে গতকাল মঙ্গলবার ফুরফুরা শরীফে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান প্রমুখরা। গতকাল বিকেলে ফুরফুরা শরীফে সাংবাদিকদের অধীর চৌধুরী জানান যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়াই করবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকে কংগ্রেসের দিকে ধরে রাখতেই গতকাল ফুরফুরা শরীফে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা। প্রসঙ্গত রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের একটা বড় অংশ সম্প্রতি ঝুকে গেছে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। এই সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের কব্জায় ধরে রেখে শাসক দল তৃণমূলকে একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিতে ফুরফুরা শরীফ যাবার পরিকল্পনা তাঁরা নিয়েছিলেন।

এদিকে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পর থেকেই সংখ্যালঘু ভোট অবিজেপির শক্তির দিকে ঝুকে পড়েছে। এবার সেই ভোটের সিংহভাগ কংগ্রেসমুখী করতেই ফুরফুরা শরীফে গেলেন তাঁরা। একটা সময় রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক কংগ্রেসের পক্ষে ছিল। কিন্তু তৃণমূলের উত্থানের পর থেকে তাতে অনেকটা টান পড়েছে। এর মধ্যেই আবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মিম। মিম এ রাজ্যে প্রার্থী দিলে মুসলিম ভাগ হবার আশংকা আছে। যে কারণে কংগ্রেস আগেভাগে মুসলিম ভোটকে নিজের দিকে টেনে নিতে সচেষ্ট হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল ফুরফুরা শরীফে অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ও ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অধীর চৌধুরী জানান যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সাফল্যের জন্য দোয়া প্রার্থনা করতে এখানে এসেছেন তিনি।এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ফুরফুরা শরিফ বাংলার সব ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতার পীঠস্থান। সেই তীর্থস্থানের যাঁরা পরিচালক, তাঁদের কাছে এসেছিলাম বাংলার মানুষের জন্য আশীর্বাদ চাইতে।’’ তবে, এ প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী জানালেন যে, তাঁদের এই সাক্ষাৎ মূলত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই এখানে এসে থাকেন। তাঁরাও এসেছেন।

অন্যদিকে, গতকাল ইব্রাহিম সিদ্দিকী জানালেন যে, ভোটের আগে সকলে ধর্ম নিরপেক্ষ থাকলেও, ভোটের পর সকলেই হয়ে যান কমিউনাল। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নাম ঘোষণা করতে চলেছেন তাঁরা। তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম সকলকে সকলকে জোটবদ্ধ হবার আহ্বান জানাবেন তাঁরা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস কতটা নিজের দিকে টানতে পারে সেদিকেই দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!