করোনা পরিস্থিতিতেও এলাকায় দেখা নেই হেভিওয়েট বিধায়কের, দেখে নিন রাজনীতি রাজ্য November 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের সময় রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা বেশি করে মানুষের পাশে থেকেছেন। শাসক থেকে বিরোধী, বিভিন্ন ধরনের জনপ্রতিনিধিরা এই বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে জনদরদি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই বৃহৎ মহামারীর সময় নিজের বিধানসভা এলাকায় দেখা যায়নি বাম- কংগ্রেস জোটের বিধায়ক সুখবিলাস বর্মাকে। যা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বিজেপি, দুই রাজনৈতিক দল এই ব্যাপারে সেই সুখবিলাসবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর নির্বাচনের আগে এলাকায় বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে এখন জমে উঠেছে জলপাইগুড়ির রাজনীতি। সাধারণ মানুষদের অভিযোগ, নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই এলাকার বিধায়কের ঠিকমত দেখা পাওয়া যায় না। তিনি কলকাতায় বিভিন্ন সময়ে কাজে ব্যস্ত থাকেন। কিছুদিন আগে করোনা মহামারী হলেও তাকে এলাকায় ঠিকমত পাওয়া যায়নি। যার ফলে মানুষ অনেকটাই হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, বিধায়কের দায়িত্ব এলাকার মানুষের পাশে থাকা। কিন্তু তা না করে কেন সুখবিলাসবাবু মানুষের পাশে নেই? এদিন এই প্রসঙ্গে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন জলপাইগুড়ি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, “আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। একজন এমপি এবং চিকিৎসক হিসেবে যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াই। কাজের নিরিখে মূল্যায়ন হয়। এখনকার বিধায়ককে তো দেখাই যায় না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রাক্তন সংসদ তথা তৃণমূল নেতা বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “আমরা জলপাইগুড়িতে সাতটি আসনে জয়লাভ করব। এখানকার বিধায়ক তো মানুষের সঙ্গে থাকেন না। আমাদের বিশ্বাস, এই আসন আমরা পুনরুদ্ধার করতে পারব।” অর্থ্যাৎ স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন বেশি করে প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন বিধায়ক অনুপস্থিত? কেন তাকে এলাকার মানুষ ঠিকমতো পান না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “বিধায়ক না থাকলেও আমি কাজ করি। তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা করোনার সময় রাস্তায় ছিলেন। তাই বলে কি করোনা কমে গিয়েছে! আমাদের বিধায়ক দেখানোর মানুষ নন। এখানে নির্বাচনে আমরা আবার জয়লাভ করব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুনীল আচার্য বলেন, “রাজনীতি ব্যক্তিনির্ভর হয় না। তবুও কোনো শূন্যস্থান যদি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা দলীয় স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।” তবে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই সুখবিলাস বর্মন কী বলছেন? এদিন তিনি বলেন, “আমি উপস্থিত না থাকলেও আমাদের কর্মীরা মানুষের সঙ্গে আছেন। এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই যাইনি। আসলে বিরোধীরা চাইছে, আমি করোনা আক্রান্ত হই। কাজের নিরিখে না পেয়ে ওরা আমার অনুপস্থিতি নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, যেভাবে বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা, তাতে আগামী দিনে এখানকার রাজনৈতিক পরিবেশ কতটা উত্তাল হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -