তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত, শেষ পর্যন্ত সেটিংয়ের পথে নওশাদও! ঝড় তুললেন শঙ্কুদেব পন্ডা! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 6, 2024April 6, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় আছে, যে মেঘ গর্জায়, সেই মেঘ বর্ষায় না। হয়ত সেই অবস্থাই হয়েছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। এতদিন অনেক বড় বড় কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তাকে। প্রবল তৃণমূল বিরোধিতা থেকে শুরু করে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছিল ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার দল সেখানে তাকে টিকিট দেয়নি। আর এরপর থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কেন এতদিন ধরে ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এলেন নওশাদ সিদ্দিকী! তাহলে কি হেরে যাওয়ার ভয়? নাকি তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে তার? আর এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই একেবারে চাঁচাছোলা জবাব দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকীর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির দাপুটে যুব নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকীর ডায়মন্ড হারবারে লড়াই না করা নিয়ে এদিন কড়া ভাষায় তাকে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। বলা বাহুল্য, বরাবরই রাজ্য রাজনীতিতে স্পষ্টবাদী নেতা হিসেবেই পরিচিত শঙ্কুবাবু। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত রনে ভঙ্গ দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।” একাংশ বলছেন, একেবারে বিচক্ষণ নেতার মত সঠিক কথাটাই তুলে ধরেছেন শঙ্কুদেব পন্ডা। কারণ এতদিন ধরে অনেক বড় বড় কথা বলতে শোনা গিয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকীকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যখন লড়াই করছেন না, তখন মানুষের মধ্যেও এই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে যে, তাহলে কি তলায় তলায় সমঝোতা হয়ে গেল? আর সেই কারণেই কি চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের আঙ্গিনা থেকে সরে এলেন নওশাদ সিদ্দিকী? যদি এইভাবে শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করে আইএসএফ, তাহলে তারা ভুল করবে। কারণ বিজেপি, বলা ভালো, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কুদেব পন্ডারা সমবেত হয়ে যে লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন, যে লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে করছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাদের সঙ্গে দলগত ভাবে মতাদর্শ গত পার্থক্য থাকলেও চোখে চোখ রেখে লড়াই করাটা উচিত ছিল। আর যদি তিনি লড়াই নাই করবেন, তাহলে এতদিন ধরে এই ধরনের কথা বলতে গেলেন কেন? স্বভাবতই শঙ্কুদেব পন্ডা একেবারে জুতসই জবাব দিয়ে ভোটের ময়দানে আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকীর অস্বস্তি প্রবল ভাবে বাড়িয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -