এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সর্বনাশ! করোনা আবহে এবার ভারতের জন্য চরম বিপদ আনছে হিমালয়? ইন্দো-মার্কিন গবেষণায় উড়ছে ঘুম!

সর্বনাশ! করোনা আবহে এবার ভারতের জন্য চরম বিপদ আনছে হিমালয়? ইন্দো-মার্কিন গবেষণায় উড়ছে ঘুম!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে ধুলোর মত মূল্যহীন। অর্থাৎ যা কিছু মূল্যহীন তাকেই ধুলোর সঙ্গে তুলনা করা যায়। তবে ধুলো যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, সেকথা সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে হিমালয়ের বরফ গলিয়ে দিয়ে গঙ্গার জলস্তর বাড়িয়ে দিতে সক্ষম কেবলমাত্র ধূলিকণা। তবে কিভাবে সম্ভব এটা?

বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় অ্যালবেডো এফেক্ট। বস্তুত অ্যালবেডো এফেক্ট বলতে কোনও বস্তুর সূর্যের উত্তাপ শুষে নেওয়া এবং বিকিরণ করার পদ্ধতিকে বোঝায়। বিজ্ঞানীদের মতে, ধুলো এমনিতেই সূর্যের উত্তাপ অনেক বেশি পরিমাণে শোষণ করতে পারে। তার কারণ হিসেবে গাঢ় রংকেই তুলে ধরা হয়। কারণ কোনও গাঢ় রঙের জিনিস বেশি তাপ শোষণ করে। আর এই ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটা ঠিক তাই বলেই মনে করা হচ্ছে! ফলে সূর্যের তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে থাকা ধুলোর রাশি যখন হিমালয়ের বরফজমা শৃঙ্গগুলোর সঙ্গে ঘষা খাচ্ছে, ফলে বরফ গলে যাচ্ছে নিমেষে। আর এভাবেই নাকি হিমালয়ের নদী গুলিতে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানী ইয়ুন কিয়ান এবং ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ম্যাড্রাস-এর চন্দন সারঙ্গির গবেষণাতে উঠে এসেছে এই তথ্য। তাঁদের কাজ ছিল হিমালয় এবং তার বরফ গলে যাওয়া সংক্রান্ত এক গবেষণা। আর সেই গবেষণার তথ্য দাবি করছে যে এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা ধুলো বয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের সুউচ্চ শৃঙ্গগুলোর উপর দিয়ে। আর তার পরিণামে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে এবং তাড়াতাড়ি গলে যাচ্ছে হিমালয়ের বরফ। ফলে বিপদ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের অনেক নদ-নদী, বিশেষ করে গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদের মত নদনদী বিপুল জলরাশি পেয়ে থাকে মূলত হিমালয়ের বরফ গলা জল থেকেই। তবে এর একটা একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ফলে হিমালয়ের বরফ গলে গিয়ে এই সব নদ-নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেলে একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। নদ-নদীগুলোও সারা বছর জলের জোগান অব্যাহত থাকে। অন্যদিকে হিমালয়ও বরফ গলিয়ে হালকা হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নতুন পরিস্থিতিতে যদি বরফ-গলা জলের পরিমাণ অল্প সময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্লাবন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা দেশকে বানভাসি করতে যথেষ্ট। তবে এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় পাওয়া না গেলেও, এই নিয়ে গবেষণা চলছে। তাই আশা করা যাচ্ছে যে খুব শীঘ্রই এর মুক্তির উপায়ও জানা যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!