“ঘর ওয়াপসিতেই” বাজিমাত করে সংগঠন মজবুত করে বিধানসভায় জয়ের সরনীতে ফিরতে চায় তৃণমূল উত্তরবঙ্গ রাজ্য October 10, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বহু চেষ্টা করেও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে সেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের কাছ থেকে সেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে নিজে জয়লাভ করেছেন। তিনি আর কেউ নন, নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু লোকসভায় ফল যাই হোক না কেন, যেনতেন প্রকারেণ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে এই জেলায় তাদেরকে ভালো ফল করতে হবে, তা বুঝতে বাকি নেই তৃণমূল নেতৃত্বের। আর তাইতো সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, এবার সেগুলো ধীরে ধীরে নিজেদের দখলে আনতে উদ্যোগী হচ্ছে তারা। যার ফলে তৃণমূল কিছুটা অক্সিজেন পেলেও মুষড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। বস্তুত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই কোচবিহার জেলায় বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করার পরই এখানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক বাড়তে শুরু করে। আর নিজেদের দল ছেড়ে বিজেপিতে দলের নেতাকর্মীদের এই যোগদান আটকাতে তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যর্থ হওয়ায় তৃণমূলের কাছ থেকে বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত গেরুয়া শিবিরের দখলে চলে যায়। ফলে সেক্ষেত্রে তৃণমূল এতদিন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলেও এবার ধীরে ধীরে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিজেপিতে গিয়েছিল, তারা ফের তৃণমূলে ফিরে আসায় এখন সেই সমস্ত পঞ্চায়েত দখল করতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, “দিদিকে বলো” কর্মসূচি জনসংযোগ যাত্রার মধ্য দিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও রাত্রিবাস, দলের কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসাকে আরও বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই ঘর ওয়াপসির ঘটনা ঘটায় রীতিমতো পঞ্চায়েত দখল করেও তা তৃণমূলের দখলে চলে যাওয়ায় হতাশ হতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি অবশ্য এই ব্যাপারে অন্য দাবি করতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, ভয় দেখিয়ে তাদের সদস্যদের নিজেদের দলে টানছে তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপিতে এসেছিলেন, তাদের ওপর একসময় নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিল। যারা তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের জীবন যাতে বিপন্ন না হয় সেজন্য আমরাই তাদের বলেছি আপনারা ওখানে থাকুন। তাদের দেহটা সেখানে থাকলেও প্রাণটা বিজেপির সাথেই রয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “যিনি এসব কথা বলছেন, তিনি হয়ত দিবাস্বপ্ন দেখছেন। ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে এসেছে। মাঝে আমাদের মনোবল কম ছিল, যখন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তখনই সেসব দেখে ওরা আবার তৃণমূলে আসছেন।” আপনার মতামত জানান -