এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গতবছরের স্মৃতি উস্কে দিয়ে লকডাউন জারি হতেই ফের পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল

গতবছরের স্মৃতি উস্কে দিয়ে লকডাউন জারি হতেই ফের পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের কারণে গত বছর রুজি – রোজগারে হারিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়েছিলেন বহু দেশবাসী, বিপাকে পড়েছিলেন দেশের কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। গত বছরের দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাই এবার লকডাউন জারি হতেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।

গতকাল রাত থেকে দিল্লিতে জারি হলো লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য। এ ছাড়া লকডাউন চলছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাবে। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। দিল্লির আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডের সামনে পরিযায়ী শ্রমিকদের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। তবে, শুধু বাসস্ট্যান্ড নয়, একাধিক রেল স্টেশনের সামনেও একই ছবি চোখে পড়ছে।

দিল্লির আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডের সামনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশাল লাইন দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ব্যাগপত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। কেউ উত্তর প্রদেশ, কেউ বিহার, কেউ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকরা জানালেন, গত বছরের মতো আবার তারা আটকে থাকতে চান না। গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারেননি তারা। যে কারণে কাজের মায়া না করে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। সকলেই মোট ঘাট গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিহারের ধানবাদের বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক জানালেন, দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে মিস্ত্রির কাজ করেছিলেন তিনি। লকডাউন ঘোষণার পর আর কোথাও কাজ পাচ্ছেন না। গত বছরের তুলনায় এ বছর সংক্রমণ আরো বেশি, একারণেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, গত বছর দিল্লিতে এক বেলা খাবার পেতেই প্রচন্ড কষ্ট করতে হয়েছিল তাঁকে। কোথাও ঘুরে এক কিলো ময়দা পেয়েছিলেন, অন্য কোথাও ঘুরে বাকি খাবার পেয়েছিলেন।

বাড়ি থেকে টাকাও চেয়েছিলেন তিনি। এক বছর ধরে তিনি যে টাকা জমিয়েছিলেন সে টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরছেন তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আর দিল্লিমুখো হচ্ছেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে আজ এক বিশেষ টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। যে টুইটে তিনি জানিয়েছেন যে, আবার পথে নেমে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য হলো, পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া।

আবার, এর সঙ্গে সঙ্গেই রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছেন যে, করোনা ছড়িয়ে দেবার জন্য যারা জনতার দিকে দোষারোপের আঙুল তুলেছেন, সেই কেন্দ্র সরকার কি আদৌ এই ধরনের জন সহায়তা করবে? এদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানালেন, হার নিশ্চিত বুঝেই প্রচার বাতিল করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!