এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পে-কমিশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে চলেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ

পে-কমিশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে চলেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ


লোকসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন ভরাডুবির পরেই রীতিমত নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের শাসকদল। একদিকে যেমন ভোট-বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঘাসফুল শিবির, ঠিক তেমনই সাংগঠনিক বহু পরিবর্তন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা বলে মনে করা হচ্ছে। আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবির অন্যতম বড় কারণ রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া।

আর তারফলে, রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০ টি আসনেই পোস্টাল ব্যালটের ফলে হেরে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর সঙ্গত কারণও রয়েছে – দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমান ডিএ বাকি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পে-কমিশন না পাওয়ার যন্ত্রনা। যে কমিশন ছ মাসের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর রিপোর্ট জমা দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছিল, তা গোটা ভূ-ভারতে রেকর্ড করে প্রায় চার বছর সম্পূর্ণ করতে চলল। আর তাই, নিজেদের বেতন যন্ত্রণার সব ক্ষোভ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা ভোট বাক্সেই উগরে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশ্য তার পরেও যে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষকদের ‘বঞ্চনার’ কথা গুরুত্ত্ব দিয়ে ভাবছে সে কথা মানছেন না প্রায় কেউই। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী, শাসকদলের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের মাথা থেকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে স্থলাভিষিক্ত করেছেন। আর শুভেন্দুবাবু কয়েকদিন আগেই দলীয় এক সম্মেলন থেকে ঘোষণা করেছেন আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বৃহত্তর সম্মেলন করে পে-কমিশন ঘোষণা করবেন।

কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণার একদিন আগেই, অর্থাৎ ১২ ই সেপ্টেম্বর নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে ও ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার দাবিতে – মোট পাঁচ দফা দাবি পেশ করে রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঝড় তুলতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আজ কলকাতার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক ফটিক দে ও দেবাশীষ শীল ঘোষণা করেন, আগামী ১২ তারিখ গোটা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের পাশাপাশি, সকাল ৯ টা থেকে কলকাতা পুরসভার সামনে অনশণ অবস্থান করা হবে।

যে পাঁচ দফা দাবিতে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ আগামী ১২ ই সেপ্টেম্বর অনশন আন্দোলনে যেতে চলেছে।

দেবাশীষবাবুরা রীতিমত তথ্য তুলে ধরে স্পষ্ট জানান, যে ১২৫% ডিএ তাঁদের ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে পাওয়ার কথা তা দেওয়া হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে। অথচ ততদিনে আরও বাকি পরে গেছে ৩৪% ডিএ। এমনকি, এই ১২৫% ডিএ দিতে গিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইন্টিরিম রিলিফ ডিএর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিএ দেওয়ার নির্দেশ আদালত দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের অর্থসঙ্কটের কথা। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে গেলে নাকি রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে। অথচ দেবাশীষবাবুদের হিসেবে বলছে, বাজেটে ঘোষিত বরাদ্দ অনুযায়ী সময়মত ডিএ না দিয়ে রাজ্যে সরকার গত ৬ বছরে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা কোষাগারে ফিরে পেয়েছে।

দেবাশীষবাবুরা আরও জানিয়েছেন, এছাড়াও এই সময়ে রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আদায় হয়েছে। এমনকি কেন্দ্র সরকার রাজ্যের বরাদ্দ ৩২% থেকে বাড়িয়ে ৪২% করেছে – সুতরাং কোনো যুক্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সঙ্কটের কথা মানা যায় না। দেবাশীষবাবুদের আরও অভিযোগ, এইসব নিয়ে যাঁরাই প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের উপর ‘বদলি-সন্ত্রাস’ চালিয়েছে প্রশাসন। এমনকি, শূন্যপদে বেকার যুবক-যুবতীদের পূর্ণ সময়ের জন্য নিয়োগও বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। আর তাই, এইরকম পাঁচটি জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েই আগামী ১২ তারিখ গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চলেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।

যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে প্রকাশিত নিজেদের দাবী ও সেই দাবীর সমর্থনে প্রদত্ত তথ্য সম্বলিত প্রেস রিলিজ।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!