এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রায়গঞ্জ তুমি কার? চতুর্মুখী লড়াইয়ে ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে লোকসভার ভোটযুদ্ধ

রায়গঞ্জ তুমি কার? চতুর্মুখী লড়াইয়ে ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে লোকসভার ভোটযুদ্ধ


একসময় এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে। বেঁচে নেই সকলের প্রিয় সেই প্রিয়দাও। গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।

কিন্তু এবারে আসন্ন 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে কংগ্রেস ও বিরোধীদল বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে চতুর্মুখী আকার ধারণ করবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2014 র লোকসভা ভোটে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের কাছে মাত্র 1634 টি ভোটে পরাজিত হন। আর বাম, কংগ্রেসের মধ্যে এই লড়াইয়ে তৃতীয় স্থান বিজেপি এবং চতুর্থ স্থান দখল করে তৃণমূল। কিন্তু এবারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সব দলই পৃথক পৃথকভাবে দাপুটে প্রার্থী দেওয়ায় কে শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি আসবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন।

বস্তুত, এই রায়গঞ্জ লোকসভা আসন নিয়েই বাম-কংগ্রেসের জোট এর মধ্যে কাটা তৈরি হয়েছে। প্রথমে গত 2014 সালে এই লোকসভা আসনে তারা জয়ী হয়েছে বলে এখানে এবার তারাই প্রার্থী দেবে বলে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ফের মহম্মদ সেলিমকে ঘোষণা করে বামেরা। আর এতেই বাম-কংগ্রেস ভেস্তে যায়। আর এরপরই এখানে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হয় প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সিকে।

অপরদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম দাপুটে নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে। ফলে সেই দিক থেকে এই হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের লড়াইয়ে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি নিয়ে আশাবাদী প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা এখানে যে পরিমাণ ভোট পেয়েছিলাম, সেই ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।” অন্যদিকে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি প্রার্থী হওয়ায় এখানে তারা অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পাবে বলে জানান উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত।

অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জেলা বিজেপির সভাপতি নির্মল দাম বলেন, “এবারে এখানে যত মুখীই লড়াই হোক না কেন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এখানে আমরাই শেষ হাসি হাসব।”‌ এদিকে বিগত লোকসভা নির্বাচনে তারা যেভাবে এই আসন ধরে রেখেছেন, এবারেও তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত হয়ে তাদের দিকেই আসবে বলে জানান উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টের সম্পাদক অপূর্ব পাল।

তবে রাজনীতিতে নানা মুনির নানা মত থাকলেও শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের এই চতুর্মুখি লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!