এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আর শুধু সরকারি আধিকারিকদের উপর ভরসা নয় – যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পথে খাদ্য দপ্তর

আর শুধু সরকারি আধিকারিকদের উপর ভরসা নয় – যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পথে খাদ্য দপ্তর


রাজ্যের মানুষকে অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের সঠিক জোগানের ব্যবস্থা করে দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময় যতই গিয়েছে ততই এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। মানুষের পাশে, মানুষের সাথে থেকে রেশনিং ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করতে বিভিন্ন সময়ে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একগুচ্ছ নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরই খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের চালের গুণগত মান নিয়ে সঠিক পরিদর্শনের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

কিন্তু তারপরও রেশনে দেওয়া চালের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ আসতেই থাকে সরকারের কাছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারের উদ্যোগে চাষীদের কাছ থেকে যে ধান কেনা হয় তা ভানানোর জন্য নথিভূক্ত কয়েকটি রাইস মিলের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর সেখান থেকেই তা রেশন দোকানে সরবরাহের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় সরকারের গুদামে। কিন্তু রাইস মিল থেকে আসা চালে যাতে কোন ভেজাল না থাকে সেই কারণে খাদ্য দপ্তরের ইন্সপেক্টররা দায়িত্বে থাকেন এই চাল পরীক্ষা করার।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় গলদ থাকার কারণেই রেশনিং পরিষেবায় বিভ্রান্তির সম্মুখীন হয় রাজ্য। অভিযোগ, এক শ্রেণীর অসৎ রাইসমিল মালিক সরকারের উদ্যোগে কেনা ধান থেকে উৎপাদিত ভালো মানের চাল খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। আর কম দামে নিম্নমানের চাল কিনে তা সরবরাহ করা হয় সরকারকে। আর এইখানেই চালের গুনগত মান খারাপ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেক মানুষ। তাই এ বার সরকারি ইন্সপেক্টরদের বদলে চালের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, চালের এই গুণগত মান যাচাই করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই কাজ চালায়। তাই এবারে সেই সংস্থাকেই নিয়ে এসে রেশনের চাল নিয়ে মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে চায় রাজ্য সরকার। পাশাপাশি গুদামে জমা হওয়ার ভিত্তিতে চাল সরবরাহ করার জন্য যাতে বের করা হয় তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারেরও চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য। এমন কি কোন সময় কত চাল সরকারের গুদামে ঢুকলো তা চিহ্নিত করণের জন্য থাকছে আধুনিক ব্যবস্থা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে বেসরকারি সংস্থাকে চালের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য নিয়োগ করা প্রসঙ্গে এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এ সংস্থাকে দিয়ে চালের মান যাচাই করতে ছয় থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তাই কেন্দ্রের কাছ থেকেই টাকা চাওয়া হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে লোকসভা ভোট। তাই সাধারন মানুষের পরিষেবামূলক বিষয়বস্তু গুলোতে যাতে কোনরূপ দুর্নীতি না থাকে সেই জন্য এখন থেকে স্বচ্ছ ব্যবস্থায় মনোযোগী হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!