এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালগুলির জন্য এবার বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালগুলির জন্য এবার বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর


ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে মা মাটি মানুষের সরকার। কিন্তু হাসপাতাল তৈরি হলেও সেখানে সঠিক পরিকাঠামো নেই বলে বারেবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিরোধী দলগুলো। একটাই এবারে বিরোধীদের সেই অভিযোগকে একেবারে নস্যাৎ করতে এবং রাজ্যের মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে একধাপ পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। কিন্তু কি সেই পদক্ষেপ?

সূত্রের খবর, 2015 থেকে 2018 সালের মধ্যে গড়ে ওঠা রাজ্যের 41 টি মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এবার তৈরি হতে চলেছে কম রক্তপাতের ল্যাপারোস্কপিক অপারেশন। এখানেই অনেকের প্রশ্ন, এরকম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা এর আগে বহুবার চালু করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাহলে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করে ঠিক কিভাবে সরকারের দ্বারা উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ?

জানা গেছে টি প্রকল্প চালু হলে গলব্লাডার, অ্যাপেন্ডিক্স, হার্নিয়া ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত মানুষ সামান্য রক্তপাতে অত্যন্ত কম সময়ে কটি মাত্র ছিদ্র করে অপারেশন করতে পারবেন।পাশাপাশি ও অপারেশনের সময় দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে থাকার যে রেওয়াজ এই বাংলায় ছিল তাও ঘুচতে চলেছে এই প্রকল্পের দ্বারা। পাশাপাশি এই অপারেশনে জন্য নিযুক্ত থাকবেন রাজ্যের বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা। তবে সারা রাজ্যে এই প্রকল্প চালুর আগে আজ আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই পরিকল্পনা পাইলট প্রজেক্ট আকারে শুরু করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

জানা গেছে, সকাল 8 টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত 15 টি গলব্লাডার অপারেশন এর জন্য এখানে আসছেন কলকাতা ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র সার্জেন তথা শিক্ষক চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, এই আরামবাগে ওটির জন্য দিন কয়েক আগেই সেখানকার রোগীদের প্রি-ওটি চেকআপ করে গিয়েছেন বিশিষ্ট সার্জেন্টরা। আজ সেখানে অপারেশন করে কোটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিদর্শন করবেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। আর যদি এই অপারেশনে সফলতার মুখ দেখতে পাওয়া যায় তাহলে বারুইপুর এবং পাঁশকুড়া সুপারস্পেশালিটি মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে তৈরি হবে প্রি-ওটি চেকআপ। মূলত এই প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্যই হল, বিভিন্ন জেলায় জেলায় তৈরি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অপারেশন ব্যবস্থাকে স্বয়ংসম্পুর্ণ করা, সাধারণ মানুষের অর্থব্যয় এব্ং হয়রানি কমানো।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে ল্যাপারোস্কোপিক নেটওয়ার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন তথা পিজির অধ্যাপক মাখনলাল সাহা বলেন, “কলকাতার নামকরা বড় বড় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যে ল্যাপারোস্কপিক অপারেশন হয় আজ আরামবাগ দিয়ে সেই প্রকল্পের শুভ সূচনা শুরু হচ্ছে। ভবিষ্যতে তা গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে।” আর মাখনলাল বাবুর এই কথার যদি বাস্তবে সত্যি সত্যিই প্রতিফলন ঘটে তাহলে রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক অভিনব দিগন্তের পথে এগোবে এই বাংলা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!