এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পর্ষদের জন্য সরকার টাকা দিলেও তার সুফল পাচ্ছেন না মন্দিরের পুন্যার্থীরা! ক্ষোভ মহারাজের

পর্ষদের জন্য সরকার টাকা দিলেও তার সুফল পাচ্ছেন না মন্দিরের পুন্যার্থীরা! ক্ষোভ মহারাজের

 

পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটা তারকেশ্বর ধাম। প্রতিবছর বাবা তারকনাথের কাছে লক্ষ লক্ষ মানুষ পুণ্য লাভের জন্য জমায়েত হন। আর এবার সেই তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য সরকার টাকা খরচ করলেও, মন্দিরের পুণ্যার্থীরা সুফল পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বয়ং তারকেশ্বর মঠের মহারাজ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার তারকেশ্বর মাঠের সভাকক্ষে উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তারকেশ্বর মঠের মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মোহন্ত মহারাজ। আর উন্নয়ন পর্ষদের এই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে গুরুতর দাবি করেন স্বামীজি।

এদিন তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার টাকা খরচ করলেও, তার সুফল পাচ্ছে না পুণ্যার্থীরা।” রাস্তা, জল, নিকাশি ব্যবস্থা ইত্যাদির অসমাপ্ত কাজগুলির দিকে উন্নয়ন পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা যায় মহারাজকে। তিনি বলেন, “দোকানঘরগুলি নিয়ে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি থাকতে পারে। আমি রাজনীতির মানুষ নই। সেই বিষয়ে বলতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রী যদি ঘোষণা করে থাকেন, উন্নয়ন পর্ষদের অর্থে যে দোকানঘর গুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলি পূনর্বাসনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাহলে মঠের পক্ষ থেকে সকলকে আমরা দোকানগুলি বিনামূল্যে তুলে দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহারাজের মতে, উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে দোকানগুলি তৈরি করে দেওয়া হলেও, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ন অধিকার মঠের। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরের আদলে তারকেশ্বর মন্দিরের দুধ পুকুরের জল শোধন করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুধপুকুরের জনগণের জন্য তারকেশ্বর মন্দিরের কাছে যে পরিমাণ জায়গা চাওয়া হয়েছিল, এই মুহূর্তে সেই পরিমাণ জায়গা না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন স্বামীজি।

কিন্তু এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে নিজের বক্তব্যে স্বাগত জানিয়েছেন তারকেশ্বর মঠের মহারাজ। এদিনের বৈঠক থেকে মহারাজ আরও বলেন, “তারকেশ্বর সন্তোষপুর মঠে বলি প্রথা বন্ধ হলে সংস্কার করা হবে বলে আমরা যে ঘোষণা করেছিলাম, সেই কাজ দ্রুত শুরু হবে। সংস্কারের নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে মন্দিরে আগত পুন্যার্থীদের ড্রাইভারদের থাকার জন্য তারকেশ্বর রাজবাড়ির মাঠের পাশে বিশ্রামাগার তৈরি হবে বলে বৈঠক থেকে জানান স্বামীজি।

পাশাপাশি একই ভবনের দ্বিতলে যাত্রীরাও নিবাস করতে পারবেন। শনিবার দিনের বৈঠকে এই মন্দিরের আগামী উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলি এবং অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সমর্পণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মহারাজ যেরকম পরামর্শ দিয়েছেন, আগামীদিনে সেভাবেই উন্নয়নের কাজ হবে বলে এদিনের বৈঠকে তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিনের বৈঠকে মঠের মহারাজের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রত্না দে নাগ, ভাইস-চেয়ারম্যান বেচারাম মান্না, চন্দননগর মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা, বিডিও থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তারকেশ্বর মঠ বাংলা তথা ভারতবর্ষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তীর্থস্থান।

আর সেই কারণেই এই চিত্রের উন্নয়ন সাধনের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করা রাজ্য সরকারের যেমন কর্তব্য, তেমনই কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্ববান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখন আগামী দিনে তারকেশ্বর কিভাবে উন্নয়নের নতুন শয্যায় সেজে ওঠে! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!