এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সত্যিই কি GST নিয়ে হিসাবের কারচুপি হয়েছে? CAG রিপোর্ট সামনে আসতেই কি জানাল অর্থমন্ত্রক?

সত্যিই কি GST নিয়ে হিসাবের কারচুপি হয়েছে? CAG রিপোর্ট সামনে আসতেই কি জানাল অর্থমন্ত্রক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। সেই সঙ্গে জিডিপি তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই সময় কি করা যায় সেই চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে রাজ্যের তরফ থেকে বাকেয়া টাকা না দেওয়ায় নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, সেখানেই কিছুদিন আগে, কেন্দ্র সরকার GST সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল CAG রিপোর্টে। সেই অভিযোগকেই সম্প্রতি খারিজ করতে দেখা গেছে অর্থমন্ত্রককে।

বস্তুত, জিএসটি কম্পেনসেশন সেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, সারা বছর যে জিএসটি সংগৃহীত হবে তা রাখা হবে জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে। ওই অ্যাকাউন্টটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট হিসাবে গণ্য হয়। আইন অনুযায়ী, এই অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া যাবে। তবে সেটা কেবলমাত্র রাজ্যের রাজস্বে ঘাটতি পড়লে তবেই করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার সেই GST সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল CAG রিপোর্টে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি, দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ বা ক্যাগের (CAG) রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ৪৭ হাজার ২৭২ কোটি টাকা কেন্দ্র জিএসটি কমপেনসেশন সেস ফান্ডে পাঠায়নি। উল্টে ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সিএফআইতে এই টাকা ফেরত দেয় সরকার। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ দুই অর্থবর্ষের এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে কেন্দ্র আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে শনিবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র সরকার। এই অবস্থায় একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী কেন্দ্র নাকি জানিয়েছে যে, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ প্রাপ্য বকেয়া সম্পূর্ণই মেটানো হয়েছিল। নিয়ম মেনেই ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় সেসের অর্থ রাখা হয়েছিল। তাই এ নিয়ে কোনও আইন লঙ্ঘন করা হয়নি বলেই জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, কর এবং সেস বাবদ কেন্দ্রের সংগৃহীত পুরো টাকাই প্রথমে ‘কনস্টিটিউশন ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় জমা পড়েছে। সেখান থেকেই বিলি বা বণ্টন হয়ে থাকে। মোট কত অর্থ সংগৃহীত হয়েছে, তা আর্থিক বছরের শেষে জানা যায়। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যগুলিকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের থেকে যত বেশি অর্থ সংগৃহীত হয়, তা সাময়িক ভাবে ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’য় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়া কোনওভাবেই জিএসটি সেসের আইনবিরোধী নয়। তাই কিভাবে এই কথা বলা হল সেটা একটা ব্যাপার। এছাড়া দুই আর্থিক বছরে রাজ্যগুলির প্রাপ্য বকেয়া আগেই মিটিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তবে এই নিয়ে আপাতত কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!