এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > হারার ভয়েই কি পুরসভাগুলিকে আড়াই বছর ধরে ‘অনাথ’ করে রেখেছে তৃণমূল? ভোটের আগে চাপ বিরোধীদের

হারার ভয়েই কি পুরসভাগুলিকে আড়াই বছর ধরে ‘অনাথ’ করে রেখেছে তৃণমূল? ভোটের আগে চাপ বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় আড়াই বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছে পৌরসভার মেয়াদ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, মাঝে করোনা ভাইরাস চলে আসার কারণে সেই নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি পৌরসভা নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, তাহলে কিভাবে শুধুমাত্র প্রশাসক বোর্ডের উপর ভিত্তি করে কাজকর্ম চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

স্বাভাবিকভাবেই মেয়াদোত্তীর্ণ বালুরঘাট পৌরসভার নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার ফলে আগামীদিনে বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে এই ইস্যু যে বিরোধীদের কাছে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, বুধবার দ্রুত পৌর নির্বাচন করার দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামফ্রন্ট। যেখানে জেলাশাসকের কাছে এই নির্বাচন করানোর ব্যাপারে ডেপুটেশন দিতে দেখা গেছে তাদের। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীরা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চেপে ধরতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা আরএসপির জেলা কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, “আগে থেকেই পৌরসভার ভোটের দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে অনৈতিকভাবে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই আমরা বিক্ষোভও ডেপুটেশন দিয়েছি। আগামীতে নাগরিক পরিষেবা এবং অবিলম্বে পৌরসভা ভোট নিয়ে শহরজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রচারে নামব।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, “প্রায় দুই বছর ধরে আমরা নির্বাচিত বোর্ডের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা বালুরঘাট পৌরসভাকে অনাথ বলে ঘোষণা করছি। দীর্ঘদিন ধরে ভোট হয় না। বিধানসভা ভোটের আগে এই বিষয়টি এখন আমাদের বড় ইস্যু। আগামীতে আমরা এই নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালাব‌।”

একইভাবে এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “তৃনমুল তো হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোট করাতে ভয় পাচ্ছে। পৌরসভার দায়িত্বে তো এসডিও ছিল। তবুও কেন এসডিওকে সরিয়ে প্রশাসক বোর্ড বসানো হয়েছে! আমরা পৌরসভা নিয়ে আগেও অনেক আন্দোলন করেছি। বিধানসভার আগে আরও লড়ব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বিরোধীদের এই ধরনের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, এবারের নির্বাচনে তারা এই ইস্যুকে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করবে। তবে বিরোধীরা এই ধরনের অভিযোগ তুললেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে, সেটা বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। ভোটের আগে চিৎকার চেঁচামেচি করে বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষকে ওরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে। রাজ্য সরকার যে প্রশাসক বোর্ড গঠন করেছে, তা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করছে।”

বলা বাহুল্য, 2018 সালের 23 মার্চ বালুরঘাট পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আর তারপরই সেখানে প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, এইভাবে পৌরসভা চলতে পারে না। তবে তা সত্বেও বর্তমানে প্রশাসক বোর্ডের মধ্যে দিয়েই পৌরসভার সমস্ত কাজকর্ম চলছে।

আর এই পরিস্থিতিতে বালুরঘাটের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে এই ইস্যুতে তৃণমূলকে চেপে ধরতে শুরু করল। যা আগামীদিনে শাসক শিবিরকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!