এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উদারতা দেখিয়ে তৃণমূল বিরোধীদের পুর-প্রশাসক করলেও কার্যত ঠুঁটো-জগন্নাথ করে রাখার অভিযোগ!

উদারতা দেখিয়ে তৃণমূল বিরোধীদের পুর-প্রশাসক করলেও কার্যত ঠুঁটো-জগন্নাথ করে রাখার অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময় পৌরসভা নির্বাচন না হওয়ার ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোতে প্রশাসক বসিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে বারবার রাজনৈতিক বৈরিতার অভিযোগ তোলা হলেও, এই প্রশাসক বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক শিবিরকে। যেখানে শিলিগুড়ি পৌরসভা বামেদের দখলে থাকলে সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বসানো হয় প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে।

যার ফলে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, এটাই সরকারের মহানুভবতা। এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক মতামত দেখা হয়নি। তবে বিরোধীদের দখলে থাকা পৌরসভাগুলোতে বিরোধী নেতাদের বসানো হলেও, তাদের কার্যত কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতে শুরু করল। সূত্রের খবর, এবার শিলিগুড়িতে এসজেডিএ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি শহরে 10 কোটি 19 লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আর এই অনুষ্ঠানের কিছু সময় কাটতে না কাটতেই এসজেডিএর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন বিধায়ক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি অপরিকল্পিত শহর। পরিকল্পিত শহরে রুপান্তরিত করা হয়, এজন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করা এসজেডিএর প্রধান কাজ। বর্তমানে তারা এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র মনোনিবেশ করছেন না। বরং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তারা শহরে এমন কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে, যা পৌরসভার করার কথা। ওরা পৌরসভার সমান্তরাল কাজ করছে। বিধান মার্কেটের সঙ্গে শহরের 5 হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যুক্ত। যারা মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তু পরিবার। তাদের স্থায়ীকরণ করতে পারল না। অবিলম্বে ব্যবসায়ীদের জমির মালিকানা দেওয়া হোক। তা না হলে বাজারের জমি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হোক।”

অর্থ্যাৎ তাকে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বসানো হলেও, তাদের কথা না শুনে এসজেডিএর পক্ষ থেকে করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য। আর সিপিএম নেতার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক শিবির এবং এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ যে যথেষ্ট চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য একথা বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তাকে যতই পৌরসভার প্রশাসক করা হোক না কেন, পৌরসভাকে এড়িয়ে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ নিজেদের মত করে কাজ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অশোক ভট্টাচার্য এই অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন এসজেডিএ ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল। এদিন তিনি বলেন, “নাগরিকদের প্রয়োজন অনুসারে শহরে উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। আরও কাজ করা হবে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অশোকবাবু এই সমস্ত কিছু কথা বলছেন। দীর্ঘদিন শহরের ক্ষমতায় আছেন অশোকবাবুরা। এখন নিয়ম মেনে নাগরিকদের চাহিদা অনুসারে উন্নয়নমূলক কাজ করছে এসজেডিএ। কাজেই চিৎকার না করেও অশোকবাবু উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করুন।”

একাংশ বলছেন, অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্যকে যখন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক করা হয়েছিল, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দাবি করা হয়েছিল, বিরোধীরা যে কথা বলছে, তা মোটেই সত্যি নয়। যদি শাসকদল সমস্ত কিছু দখল করে রাখত, তাহলে কোনোমতেই অশোকবাবুর মত বিরোধী নেতারা পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেতেন না। এ থেকেই সরকারের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যায়।

তবে এবার সেই অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য যেভাবে পৌরসভাকে এড়িয়ে এসজেডিএর বিরুদ্ধে একতরফাভাবে কাজ করার অভিযোগ তুললেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে নির্বাচনের মুখে এই ধরনের ঘটনা শিলিগুড়িতে শাসক-বিরোধী তরজাকে যে অনেকটাই বাড়িয়ে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!