এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশের 24 ঘন্টার মধ্যেই আবারও নতুন অভিযোগ হাইকোর্টে, তীব্র চাঞ্চল্য

স্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশের 24 ঘন্টার মধ্যেই আবারও নতুন অভিযোগ হাইকোর্টে, তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে জট এখনো অব্যাহত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার পর তিনি ঘোষণা করেন, উচ্চ প্রাথমিকে খালি জায়গায় এবার নিয়োগ হবে। সে ক্ষেত্রে পুজোর আগেই বড়োসড়ো নিয়োগের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারভিউ তালিকাও প্রকাশ পায়। কিন্তু নিয়োগের আগেই হাইকোর্টের একের পর এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।  স্থগিতাদেশ জারি করা হয় ইন্টারভিউ পদ্ধতিতে। অন্যদিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নতুন তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে নিয়ম মেনে নতুন তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়।

কিন্তু আদালতের নির্দেশের 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও একটি নতুন মামলা। এবার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার 136 জন পদপ্রার্থী প্রকাশিত ইন্টারভিউ তালিকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মামলাকারীদের অভিযোগ, নতুন যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেখানে 2019 এর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশ মানা হয়নি। আগামী মঙ্গলবার এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের অন্যতম বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, 2019 এর মেধাতালিকায় 136 জনের নাম ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু 2021 এর একুশে জুন যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন, সেখানে কিন্তু আগের 136 জন বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন 2019 এর মেধা তালিকার সম্পূর্ণ বাতিল করার এবং স্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশ করার। একইসাথে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকায় চাকুরী প্রার্থীর নাম, বয়স এবং প্রাপ্ত নম্বর তালিকায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সাথে শেষ 15 দিনের শূন্যপদের সংখ্যাও তালিকায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন সেইসব নির্দেশের কোনটিই মানেনি বলে অভিযোগ। একইসাথে শোনা যাচ্ছে, অনেক কম নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে অনেকে। আর সেখান থেকেই অভিযোগ উঠেছে অস্বচ্ছতার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ যেভাবে সামনে আসছে, তাতে কিন্তু ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। একইসাথে আইনি জটিলতা নিয়োগের পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!