প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে দেরী, মদন মিত্র কিন্তু পুরোনো মেজাজেই ফিরে এলেন সর্বসমক্ষে। সম্প্রতি নারদ মামলায় দীর্ঘদিন পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কামারহাটির বিধায়ক তথা জনপ্রিয়  তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মদন মিত্রের সঙ্গে তৃণমূলের আরও দুই মন্ত্রী এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। যেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন নেতা-মন্ত্রীরা, সেই রাতেই তাঁদের জামিন স্থগিত হয়ে যায় এবং প্রেসিডেন্সি জেলে স্থানান্তরিত করা হয় প্রত্যেককে। কিন্তু জেলে যাবার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও তার সাথে থাকা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।

প্রত্যেককেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গৃহবন্দির আদেশে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাড়ি চলে গেলেও মদন মিত্র কিন্তু তীব্র অসুস্থতাজনিত কারণে এতদিন পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালেই ছিলেন। গতকাল তিনি ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর আবারও ফিরে গিয়েছেন নিজের পুরনো ফর্মে। ছাড়া পেয়ে হাসপাতাল চত্বরেই গলা ছেড়ে গান গেয়েছেন মদন মিত্র। তারপর গাড়ি নিয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু মদন মিত্র যে চূড়ান্ত অসুস্থ তা চিকিৎসকরা ভালোই বুঝেছিলেন। তাই তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

যথারীতি কিছু দূর গাড়ি চালাতে না চালাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। ভবানীপুরের সামনে এসে তাঁকে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার দেওয়া হয়। এরপর কিছু সময় কাটিয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফেরা মাত্রই তিনি আবার বেড়িয়ে পড়েন বেলঘড়িয়ায় অবস্থিত একটি মন্দিরে পুজো দেবার উদ্দেশ্যে। তবে এবার মদন মিত্র পেয়ে যান সঙ্গী হিসেবে খ্যাতনামা টেলি অভিনেত্রীকে। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদও বিলি করেন। পাশাপাশি মন্দির চত্বরেও তাঁকে দেখা গিয়েছে রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে। তারপরে মদন মিত্র সোজা চলে যান এলাকায় ত্রাণ বিলির উদ্দেশ্যে।

অন্যদিকে মদন মিত্রকে হাসপাতাল থেকে বেরুনোর পরেই কয়েক দফায় ফেসবুক লাইভেও দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ডাক্তারের নির্দেশ অমান্য করে মদন মিত্র কিন্তু নিজের ফুরফুরে মেজাজকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছেন। তবে এসবের কতটা তাঁর শরীর আগামী দিনে টানতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন চিকিৎসকরা। তবে এটুকু বলাই যায়, নারদ মামলা কিংবা হাসপাতালে অসুস্থতা যাই হয়ে যাক না কেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে কিন্তু এখনো সেই রংচঙে মদন মিত্র।