পদত্যাগের হুমকি 6 প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! দুর্নীতি নিয়ে সরগরম শাসকদলের অন্দরমহলের রাজনীতি! কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি July 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। দিকে দিকে নানা পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। আর এবার তারকেশ্বর বালিগড়ি 2 পঞ্চায়েতে এই দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। একদিকে দুর্নীতিকে সামাল দেওয়া এবং অন্যদিকে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাকি সদস্যরা। তাদের অভিযোগ যে, 100 দিনের কাজ থেকে শুরু করে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য, কোনো কিছুই তাদেরকে জানানো হয় না। ফলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধেই এবার সেই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পঞ্চায়েতের ছয় তৃণমূলের সদস্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তারা পদত্যাগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে গত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় বেলেল বলেন, “পঞ্চায়েতের রেজুলেশন খাতা সদস্যদের সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপর ইচ্ছেমতো বিষয়বস্তু লিখে দেওয়া হচ্ছে। ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা সামান্য ত্রিপলটাও দিতে পারছি না। যার ফলে এলাকার লোকজন আমাদের দোষারোপ করছেন। আমরা তারকেশ্বর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুন্ডুর অনুগামী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যে কারণে তারকেশ্বর পৌরসভার প্রশাসক স্বপন সামন্তের নির্দেশে আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছি। তা না হলে কয়েকদিনের মধ্যেই ইস্তফা দেব।” যদিও বা তার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন সামন্ত। কিন্তু প্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, তা কতটা সত্যি! যেভাবে পঞ্চায়েতের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে একনায়কতান্ত্রিক ভাবে চলার অভিযোগ করছেন, তাতে তো তৃণমূল অনেকটা চাপে পড়ল! এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবীপ্রসাদ গিরি বলেন, “বোর্ড গঠনের পর থেকেই সদস্যরা পঞ্চায়েতের কাজে অসহযোগিতা করছেন। এলাকার মানুষের স্বার্থে সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনা সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যরা পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ছে। এখন উপরতলায় এই ব্যাপারে সেই সমস্ত সদস্যরা অভিযোগ জানানোর পর তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কিভাবে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -