এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ইস্তফা দিলেন পার্থর কাছে, দলীয় সাংসদের দিকে উঠছে আঙ্গুল! জল্পনা তুঙ্গে

হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ইস্তফা দিলেন পার্থর কাছে, দলীয় সাংসদের দিকে উঠছে আঙ্গুল! জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি আটকাতে তৃণমূলের অন্দরে এবার শুরু হয়েছে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া। কিন্তু সেই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়াই কি এবার বিপদ ডেকে আনবে তৃণমূল কংগ্রেসের? ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাসের সময় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে অনেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

শুধু তাই নয়, তৃণমূল বাঁচাও কমিটির নাম করে সেই সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়তেও দেখা যায়। আর এর পরেই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, এবার নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হল সেই সোমনাথ বেরাকে। জানা গেছে, সোমবার জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার পার্থ ঘোষের কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন তিনি। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীর নির্দেশেই তাকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ সোমনাথবাবু। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সোমনাথ বেরা বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কারণে কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। পার্টি থেকে সেরকম কোনো নির্দেশ ছিল না। আমি জেলা পরিষদের সদস্য। ক্ষতি পূরণের তালিকা ঠিক করে পঞ্চায়েত। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “জেলা পরিষদের পরিবহন ও পূর্ত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগের জন্য সোমনাথকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন ইস্তফা দিয়েছে বলে শুনেছি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে যেনতেন প্রকারেণ তৃনমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। তাই এখন থেকেই দলের নেতাদের দুর্নীতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে তৃনমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসনে তৃনমূল জয়লাভ করলেও, বিজেপির ভোট বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মত। তাই এমতাবস্থায় মানুষের চোখে ভালো হতে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তৃনমূল কড়া পদক্ষেপ নিলেও, যদি সেই সমস্ত নেতারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন, তাহলে ব্যাপক চিন্তায় পড়তে হবে শাসকদলকে। অনেকে বলছেন, শাসকদল সময়ে থাকতে পদক্ষেপ নেয়নি। এখন এভাবে নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিলে দলের ভেতরেই বিদ্রোহ জন্ম নিতে পারে। ফলে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!