এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রয়াত একদা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতা – শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

প্রয়াত একদা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতা – শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

চলে গেলেন একসময়ের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ত্ব সামলানো তথা পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদ্রোহী মুখ হয়ে ওঠা তিনবারের বিধায়ক পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ থাকা পঙ্কজবাবু আজ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। পঙ্কজবাবুর মতো বিধানসভায় ঝড় তুলে দেওয়া নেতা খুবই কম এসেছে রাজ্য-রাজনীতিতে – এমন প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় পাওয়া গেল তাঁর প্রাক্তন সতীর্থদের কাছ থেকে।

পঙ্কজবাবু ১৯৭২ সালে জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে প্রথমবার টালিগঞ্জ থেকে বিধায়ক হন। এরপর, দ্বিতীয়বারের জন্য বিধানসভায় আসেন আবার ১৯৯৬ সালে, সেই কংগ্রেসের টিকিটেই। কিন্তু এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস তৈরী করলে তিনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপরে ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে আবার টালিগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ত্ব সামলান।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত পঙ্কজবাবু সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় থেকেই হঠাৎ করে অন্তরালে চলে যান। ‘প্রায়’ রাজনৈতিক সন্যাস নিয়ে নিলেও কি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ত্ব তৈরী হল তা নিয়ে মুখ খোলেননি – যোগ দেন নি অন্য দলেও। ২০০৯ সালের পর থেকে তাঁকে আর সেভাবে প্রকাশ্যে দেখাও যেত না – রাজ্য-রাজনীতিতে একদিন ঝড় তুলে দিতেন যে মানুষটি, তিনিই যেন কোথায় হারিয়ে গেলেন।

এরপর আবার প্রায় বছর দশেক বাদে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। ২০১৫ সাল নাগাদ এক প্রকাশ্য জনসভা থেকে তিনি তীব্র আক্রমন হানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, সেদিনের জনসভায় তিনি বলেন, এখন রাজনীতিতে আর কেউ সমাজের কথা ভাবে না। সবাই ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করে – টাকা কামিয়ে নেওয়াই এখন রাজনীতির লক্ষ্য। সেদিন তাঁর আক্রমন থেকে বাদ যান নি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও! তিনি বলেন, এখন তো সব মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় হয়! অনুপ্রেরণা আসলে গান্ধীজির (পকেটে থাকা ৫০০ টাকার নোটের গান্ধীজির ছবির দিকে ইঙ্গিত করে)।

তিনি সেদিন আরও বলেছিলেন – মা বিপন্ন, মাটি জাহান্নমে! ফলে, সেই সময় জল্পনা বেড়েছিল যে তিনি নাকি মুকুল রায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পৃথক দল ঘটনার পথে যাচ্ছেন। কিন্তু সেদিন তাঁর সেই চাঁচাছোলা আক্রমনের সামনে দাঁড়িয়ে পাল্টা উত্তর দেন নি প্রায় কোন তৃণমূল নেতাই। সেই দাপুটে মানুষটাই আজ আর নেই – রাজনীতির নতুন সংজ্ঞা লেখা মানুষটা যাত্রা করলেন অমর্ত্যলোকের পথে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!